পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর পানি প্রবেশ
কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছে মাতামুহুরী নদীর পানি। সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে পেকুয়া পূর্ব মেহেরনামা রাবার ড্যাম এলাকায় এ ভাঙন দেখা দেয়। এছাড়া, পেকুয়া সদরের ফাঁসের গুদাম, সিরাদিয়া, উজানটিয়া ইউনিয়নের করিমদাদ মিয়াঘাট এলাকার বেড়িবাঁধেও ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, টানা কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে মাতামুহুরী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ব মেহেরনামা বেড়িবাঁধসহ তিনটি স্থান ভেঙে যায়। এর ফলে পেকুয়া সদরের পূর্ব মেহেরনামা, সৈকতপাড়া, মোরারপাড়া, বলিরপাড়া, নন্দীরপাড়া, বাজারপাড়া, উত্তর মেহেরনামা, চৈরভাঙ্গা, বিলহাসুরা, ছিরাদিয়া, টেকপাড়া, বাইম্যাখালী, হরিণাফাঁড়ি ও শিলখালী ইউনিয়নের পেঠানমাতবরপাড়া, সবুজপাড়া, চেপ্টামোড়া, হেদায়াতাবাদ, হাজিরঘোনা, দোকানপাড়া, জারুলবুনিয়া, বারবাকিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ বৃষ্টির পানি ও বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
তারা আরও জানান, পেকুয়ায় কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা, সহকারী কমিশন (ভূমি) জাহেদুল ইসলাম, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। তারা পানিবন্দি মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহেদুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধটিতে ২০১৫ সালেও একবার ভেঙে যায়। সে সময় অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবারও পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে বেড়িবাঁধটির একই স্থান ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা জানান, ভাঙন এলাকা আমি নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।বেড়িবাঁধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী জানান, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তারেকুর/ মাসুদ