পানিতে ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান-কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
বন্যার পানিতে প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান পার্বত্য জেলা এবং পর্যটন শহর কক্সবাজার জেলার যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান ও কক্সবাজার অভিমুখে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। এছাড়া বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে সাতকানিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া উপজেলা এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সাতাকানিয়া উপজেলার ৮০ শতাংশ বাড়িঘর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বহুতল ভবনের অধিকাংশরই নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে।
সাতকানিয়া থেকে চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রানা জানান, বন্যার ফলে সাতকানিয়া কেরানিহাট থেকে বান্দরবান সড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার পুরোপুরি পানির নিচে ডুবে রয়েছে। সড়কের অধিকাংশ স্থানেই কোমর সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া উপজেলা অংশ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কক্সবাজার সড়ক পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বান্দরবান সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে সাতকানিয়া পুলিশ স্টেশন (থানা)।
এদিকে, বন্যায় প্লাবিত সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দোহাজারী এলাকার মানুষদের বিশুদ্ধ পানি এবং খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই তিন উপজেলার মানুষ নিরাপদস্থানে আশ্রয় নিলেও সর্বত্র খাবার পানির সঙ্কটে বিপাকে পড়েছেন তারা।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে ডুবে জুনায়েদ ইসলাম জারিফ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রেজাউল/ মাসুদ