রুমা-থানচিতে পাহাড় ধসে যোগাযোগ বিছিন্ন
বান্দরবান সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
বান্দরবানে টানা সাত দিনের (২-৮ আগস্ট) ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে থানচি-রুমার প্রধান সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। রুমা উপজেলার গ্যালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চিম্বুক ও নীলগিরি মধ্যবর্তী পোড়া বাংলা এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ধসে পড়ায় ওই সব এলাকার মানুষজন আশপাশের এলাকার সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার (১১আগস্ট) থানচি ও রুমা সড়কে ঘুরে দেখা যায়, বান্দরবানের মিলনছড়ি থেকে পোড়াবাংলার বিভিন্ন এলাকার সড়কের ওপর মাটির স্তূপ পড়ে আছে। কোথাও কোথাও গিরিখাত সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড় ধসের কারণে উপড়ে যাওয়া বিদ্যুতের পিলার, বৈদ্যুতিক তার ও গাছ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত টানা বর্ষণে জেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাহাড় ধসে বান্দরবান-থানচি সড়কের মিলনছড়ি থেকে চিম্বুক নীলগিরি পোড়া বাংলা এলাকাসহ বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙে গেছে। ফলে বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই সড়ক মেরামত করতে বা যোগাযোগ উপযোগী করতে অনেক সময় লাগতে পারে।
চিম্বুক ১৬ মেইল বাগান পাড়ার বাসিন্দা মেন রাও ম্রো জানান, ৭ তারিখ বাসার জন্য বাজার সদায় নিতে চিম্বুক বাজারে যায়। ৮ তারিখ সকালে ফেরার পথে পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙে যাওয়ার দৃশ্য দেখি। পরে প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছি।
টংকাবতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্লুকান ম্রো জানান, টানা বর্ষণের কারণে এই রাস্তাটি পুরো ধসে যায়। রাস্তা ধসে যাওয়ায় কোনদিকে সড়ক পথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এলাকাবাসী খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাটি মেরামত করে যান চলাচলে উপযোগী করে তোলার জন্য অনুরোধ করেছি প্রশাসনকে।
সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন (২০ ইসিবি) এর ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ জানান, বান্দরবান থেকে চিম্বুক- নীলগিরি-থানচি সড়কটি দ্রুত যান চলাচল উপযোগী করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, আজ বান্দরবান হতে ওয়াইজংশন পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী করা হবে। আগামীকাল আরো কয়েকটি টিম যোগ হবে। চিম্বুক ও নীলগিরি মধ্যবর্তী পোড়া বাংলা এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার ধসে যাওয়ায় বিকল্প সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
চাইমং/ মাসুদ