ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সড়ক, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীরা

বরগুনা প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১১, ১১ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ১৭:২১, ১১ আগস্ট ২০২৩
ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সড়ক, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীরা

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। এতে ঝুঁকি ও ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪০ সালে ৬৬ শতাংশ জমির ওপর ১০নং উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি পাকা ভবন থাকলেও সেটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে ক্লাসরুম হিসেবে অস্থায়ীভাবে একটি টিনশেট ঘর করা হয়েছে।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫ জন। শিক্ষক আছেন ৪ জন। প্রতি বছর সমাপনী পরীক্ষায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে থাকে। কিন্তু বিদ্যালয়টি বিলের মাঝে হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের একমাত্র সড়কটি তলিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে বিদ্যালয়টি তলিয়ে না গেলেও চারপাশসহ চলাচলের সড়কটি চলিয়ে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে শিশুরা স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। এই সড়ক দিয়ে শুধু এই প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও চলাচল করে। কিন্তু গত ৩৫ বছরেও এই সড়কে কোনও উন্নয়ন কাজ হয়নি।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও কখনো সড়কটি সংস্কার করেনি। এতে শিশুরা বৃষ্টির সময় ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। আমাদের দাবি, সড়কটি উঁচু করে পাকা করে দেওয়া হোক।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আমেনা বলে, প্রতিদিন দুইটা পোশাক নিয়ে স্কুলে আসি, কারণ কাদা দিয়ে হাঁটতে গেলে মাঝে মধ্যে পড়ে যাই। তখন স্কুলে এসে সেটা পালটাইয়া ফেলি। অনেক সময় স্কুলে আসতেও পারি না। বর্তমানে বৃষ্টির পানিতে সড়কটি পুরো তলিয়ে গেছে।

জান্নাতি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, আমাদের দাবি, সড়কটি উঁচু করে দেওয়া হোক। প্রতিদিন কাদা-পানি পেড়িয়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে আসতে হয়।

উত্তর কড়ইবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম বলেন, সামান্য বর্ষায় সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। বর্তমানে ভারী বৃষ্টিতে সড়কটি পুরো তলিয়ে রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে খুবই কষ্ট হয়। কেউ পানি-কাদার ভয়ে স্কুলে আসতে চায় না। এমন চলতে থাকলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

কড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম শিকদার পনু বলেন, গত অর্থবছরে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। আগামী অর্থবছরে পরিষদ থেকে সড়কটি সংস্কার করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে যা কিছু দরকার সব ব্যবস্থা করে দেব।

ইমরান/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়