ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

মাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ 

নরসিংদী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ১৩ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১৩ আগস্ট ২০২৩
মাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ 

নরসিংদীর মনোহরদীতে জমিলা খাতুন (৮০) নামে এক মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মেয়ে খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে। 

শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

খাদিজা আক্তার উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলাম ফালুর স্ত্রী। 

বৃদ্ধা জমিলা খাতুন উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মাঝির স্ত্রী। এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে স্বামী মারা যান। 

স্থানীয়রা জানান, বাবা ও নানার দেওয়া জমি আত্মসাৎ করতে দুই বছর আগে মাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসেন খাদিজা আক্তার। কিছুদিন যেতে না যেতেই একমাত্র বড় ভাই আসাদুজ্জামানের সঙ্গে প্রতারণা করে সব সম্পত্তি মা জমিলা খাতুনের কাছ থেকে লিখেয়ে নেন দুই মেয়ে খাদিজা আক্তার ও তাসলিমা আক্তার। সম্পত্তি লিখে নেওয়ার পর থেকে মাঝে মাঝেই মাকে গলায় রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে খাদিজা আক্তার নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

প্রতিবেশী জালু মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, বৃদ্ধার চিৎকারে আমাদেরই কষ্ট হয়। এমন নিষ্ঠুর অত্যাচার দেখে তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদেরকে লাঠি-সোটা নিয়ে মারতে আসে খাদিজা। এ অত্যাচার দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। বৃষ্টির মধ্যেও বেঁধে রাখে ও মারপিট করে। প্রশাসনের কাছে তার দুই মেয়ের বিচার দাবি করি। 

বৃদ্ধার ছেলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার মায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তা আমি আগে জানতাম না। নির্যাতনের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে মাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি ও চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। আমার বোন খাদিজার সুখের কথা চিন্তা করে তার স্বামীকে বিদেশ পাঠানোর জন্য দুই লাখ বিশ হাজার টাকা দেই। কিছুদিন পর জানতে পারি মায়ের সকল জমি আমার ছোট দুই বোন লিখে নিয়েছে। টাকা চাইতে গেলে খাদিজা আমাকে মামলার হুমকি দেয় ও গালিগালাজ করে।’ এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।

ঘটনার বিষয়ে জানতে খাদিজা আক্তারের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে খাদিজা বলেন, ‘আমার মা পাগল তাই বেঁধে রাখি।’

ছোট মেয়ে তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমার মায়ের ওপর এমন নির্যাতন হয়, এটা আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম। এখন থেকে মায়ের খোঁজখবর নিবো।’

রায়পুরা উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম মাহবুবুর রহমান দুলাল বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। ’

হৃদয় এস সরকার/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়