কুড়িগ্রামে রেকর্ড ১২৬ মি.লি. বৃষ্টিপাত 

চলতি বছর দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামে। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুর থেকে রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সর্বোচ্চ ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।  

জেলার রাজারহাটের কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নিচু এলাকার রোপা আমন ও সবজিক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ ও দ্রুত পানি সরে না গেলে তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা করছে কৃষকেরা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বিসিক শিল্পনগরী এলাকার কৃষক মন্তাজ আলী জানান, টানা বৃষ্টিতে ১৫ দিন আগে লাগানো আমনক্ষেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে চারা নষ্ট হয়ে যাব। 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, অতি বৃষ্টিতে জেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমির রোপা আমনক্ষেত ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া আমনক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তেমন নেই। কেননা বন্যা না হলে বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যাবে। 

অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের ফলে জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পিটিআইসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ইউসুফ আলী জানান, এক কথায় মুষলধারে বৃষ্টি। অনেক দিন পর এমন বৃষ্টি দেখা গেল। ঘর থেকে বেরুনোর উপায় নেই। রোববার বিকেলে বৃষ্টি একটু কমে আসলেও আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আরও বৃষ্টি হবে।  

ভারী বর্ষণের ফলে জেলার উপর দিঢে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী রংপুর বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।