ঢাকা     সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

নারী শ্রমিক হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ১৪ আগস্ট ২০২৩  
নারী শ্রমিক হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দাদনের টাকার জন্য বিলকিস বেগম (৪০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় আসামি মো. নুর আলমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে র‍্যাবের কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে নুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

মো. নুর আলম করিমগঞ্জ উপজেলা গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানিয়েছে, মো. নুর আলম গত ৬ আগস্ট দুপুরে দাদনের টাকার জন্য বিলকিস বেগম নামের এক ইটখোলা শ্রমিককে রাস্তায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় নিহত বিলকিস বেগমের ছেলে মাসুম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি সুজন মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুর আলম গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

বিলকিস বেগমসহ তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে ইটখোলায় কাজ করতেন। বর্ষাকালে ইটখোলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে। নুর আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটখোলায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা তিনি পরিশোধ করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এ টাকার জন্য গত রোববার (৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে নুর আলম বিলকিসের বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়িতে ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় নুর আলমের। একপর্যায়ে নুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে বিলকিস বেগমকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে নুর আলম লাঠি দিয়ে বিলকিসকে মারধর করেন। নুর আলম প্রভাবশালী হওয়ায় ওই নারীকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে যাননি।

 রুমন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়