ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

নবজাতকের মৃত্যু: ক্লিনিক সিলগালা, মালিককে জরিমানা

ইমরান হোসেন, বরগুনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১৫ আগস্ট ২০২৩  
নবজাতকের মৃত্যু: ক্লিনিক সিলগালা, মালিককে জরিমানা

ক্লিনিকে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত

বরগুনার বেতাগীতে সিজারের একদিন পর ক্লিনিকে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৪ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে ওই ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে ভ্র্যাম্যামাণ আদালত। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বেতাগী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বেতাগী ডক্টরস ক্লিনিকে সাইদুর রহমান রনির স্ত্রীর অপারেশনের মাধ্যমে এক নবজাতকের জন্ম হয়। অপারেশনের পর নবজাতক সুস্থ ছিল। রোববার দুপুরে নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে তাদের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বরিশাল নেওয়ার পথে নবজাতকটি মারা যায়। এরপর নবজাতকের বাবা শিশুটিকে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

নবজাতক শিশুর বাবা সাইদুর রহমান রনি বলেন, সিজারের পর ক্লিনিকে বাচ্চার কোনো চিকিৎসা হয়নি। শুধু আমার স্ত্রীর চিকিৎসা করেছে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বিনা চিকিৎসায় আমার বাচ্চাটা মারা গেছে। তারা কোনো চিকিৎসা করে না, সব টাকা পয়সা হাতানোর ধান্ধা। এই ক্লিনিকে কোনো ডাক্তার নেই, আছে শুধু একজন নার্স।

বেতাগী ডক্টরস ক্লিনিকে সিনিয়র নার্স নিপা আক্তার বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রোগী আমাদের ক্লিনিকে ভর্তি হন। বাচ্চার মুভমেন্ট কম থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমার্জেন্সি সিজার করেন। সিজারের পর শিশুটি সুস্থ ছিলো। শনিবার রাতে বাচ্চা মায়ের দুধ পায়নি, কিন্তু সে কথা পরিবারের কেউ আমাদের বলেনি। পরে আমাদের জানালে বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য লিখে দেই। রোববার বিকেলে বাচ্চাটা কিছুটা অসুস্থ হলে আমি অক্সিজেন দেই। এরপর ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. ফাহমিদা লস্কর বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন মিলে বেতাগী ডক্টরস ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরিদর্শনে যাই। এ সময় আমরা সেখানে অনেক অসঙ্গতি পেয়েছি। ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নবজাতক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়