ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক, ভোগান্তি

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ১৬ আগস্ট ২০২৩  
সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক, ভোগান্তি

সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পাড় হচ্ছেন এক শিশু ও বৃদ্ধা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভারেরা খালের ওপর ভারেরা-আড়ালিয়াকান্দা সড়কে সেতু নির্মাণ হয়েছে প্রায় দুই যুগ আগে। সেতুটি দাঁড়িয়ে থাকলেও ৭ বছর আগে ভাঙনের কবলে পড়ে পানিতে ভেসে যায় পূর্ব অংশের সংযোগ সড়ক। বর্তমানে সেতুতে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশ ও কাঠের তৈরি মাচা। ফলে সেতু পারাপারে চরম ভোগান্তিতে আছেন খালের দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। 

স্থানীয় চেয়ারম্যান জানান, সংশ্লিষ্টদের ডেকে আনা হলে তারা আশ্বাস দিয়ে চলে যান।  

স্থানীয়রা জানান, ২০০৪ সালে ভারেরা-আড়ালিয়াকান্দা সেতুটি নির্মাণ করে এলজিইডি। এই সেতুর পূর্ব অংশের মানুষের প্রায় ১ হাজার একর জমি রয়েছে খালের ওপারে। এছাড়া আড়ালিয়াকান্দার প্রায় ৪ হাজার মানুষের যাতায়াত করেন এই সেতু দিয়ে। প্রায় দেড় থেকে দুইশ শিক্ষার্থী আছেন যারা এই সেতু দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান। কিন্তু গত দুই যুগে খালের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় এবং বন্যায় সেতুর পূর্বপ্রান্তের মাটি ধসে পড়েছে। ফলে ভেঙে যায় সংযোগ সড়কটি। সেতু নির্মাণের সময় দুই পাশের পাড় রক্ষায় নেওয়া হয়নি স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা। বর্তমানে গ্রামবাসীরা নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশ ও কাঠের তৈরি মাচা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সেতুটির ওপর দিয়ে। 

গোসাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামাল আশিক বলেন, আমি নির্বাচিত হবার পর থেকে নিজস্ব অর্থায়নে কয়েকবার এই সংযাগ সড়ক মেরামত করেছি। এলজিইডি প্রকৌশলীকেও ডেকে এনে দেখিয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরহাদ আলী জানান, আমি ভারেরা বাজারে ব্যবসা করি। নদীর ওপারে আড়ালিয়াকান্দায় আমার বাড়ি। আমার দিনে দুই থেকে তিনবার আসা যাওয়া করতে হয় এই সেতু দিয়ে। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি পারাপারে অনেক কষ্ট হয়। 

ভারেরা ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র রাতুল বলেন, স্কুল, প্রাইভেট ও কোচিং এর জন্য আমাকে কমপক্ষে তিনবার আসা যাওয়া করতে হয়। দিনেই চলাফেরা কষ্টের রাতেই আরও কঠিন।  

স্থানীয় যুবক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রচুর পরিমাণে সবজি উৎপাদন করি। কিন্তু বাজারে এই সবজি নিয়ে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। অনেক কষ্টে এই বাঁশ ও কাঠের তৈরি মাচা পার হয়ে সবজি বাজারে নিতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এখানে এনে কয়েক দফা মানুষের দুর্ভোগ সরেজমিনে দেখানো হলেও তারা এ ব্যপারে কোনো উদ্যোগ নেননি। আমাদের কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই।

শেরপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দ্রুত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সেতুটির সংযোগ সড়কের সমস্যা সমাধান করা হবে। 

তারিকুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়