ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু

হাসপাতালের পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ১৬ আগস্ট ২০২৩  
হাসপাতালের পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

কুমিল্লার তিতাস মেডিকেল সেন্টারে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে অপারেশনের চেষ্টাকালে নবজাতকের মৃত্যু ও মায়ের জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় মেডিকেল সেন্টারটির পরিচালক  পিন্টু কুমার দাশসহ পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমানের আদালতে ভুক্তভোগী প্রসূতি সাবিনার স্বামী মোশাররফ হোসেন মামলাটি করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহম্মেদ, আওলাদ হোসেন, খোরশেদ আলম ও তাসলিমা রিজভী লাইলী। 

মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, গত ৭ আগস্ট দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন তার প্রসূতি স্ত্রী সাবিনাকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার তিতাস মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসেন। নিজেকে হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তাসলিমা রিজভী লাইলী ও হাসপাতালের কয়েকজন প্রসূতিকে ভর্তি করান। পরে তারা দীর্ঘ সময় ডেলিভারির চেষ্টা করেন। এসময় ভুয়া চিকিৎসকের অপচিকিৎসার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়। এছাড়া তারা প্রসূতি মায়ের জরায়ু ফাটিয়ে ফেলেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনে হাসপাতালে আসেন গাইনী বিশেষজ্ঞ জেনিফার শারমিন। 

সাবিনার স্বামী মোশাররফ হোসেন জানান, দ্রুত সিজারের মাধ্যমে মৃত কন্যা নবজাতকে মায়ের পেট থেকে বের করা হয়। একই সঙ্গে জীবন বাঁচাতে সাবিনার তৎক্ষনিক জরায়ু কেটে ফেলে দেন চিকিৎসক। অপারেশনের পরে সাবিনাকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দেওয়া তাসলিমা রিজভী লাইলী। 

এ বিষয়ে গত ৯ আগস্ট জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগও করেন বলে জানান ভুক্তভোগীর স্বামী মোশাররফ হোসেন। স্ত্রীর জরায়ু কেটে তাকে সন্তান জন্মদানে অক্ষম করে দেওয়া ও নবজাতক হত্যার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তার। 

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা আদালতকে বিষয়টি বলেছি, আদালত মামলাটা গ্রহণ করে জেলা ডিবি পুলিশকে হস্তান্তর নির্দেশ দেন। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো। 

এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার জানান, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রুবেল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়