ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রাজশাহীতে জমি দখল নিতে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ২০ আগস্ট ২০২৩  
রাজশাহীতে জমি দখল নিতে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ বায়া-বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় জমি দখলে নিতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় তারা জমি বিক্রির বায়নার ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি স্বর্ণ লুট করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। 

ভুক্তভোগীরা বলেন, এলাকার বাবলু, বাবলুর ছেলে সাঈদ আহমেদ টনি, আয়নাল ও তার ভাই আরমের নেতৃত্বে গত শুক্রবার রাতে হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা জমি বিক্রির বায়নার ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি স্বর্ণ লুট করে। একই সঙ্গে তারা বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার ওই ঘটনায় আহত হয়েছে অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদা পারভীন নামের এক ভুক্তভোগী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। প্রতিপক্ষরা আমাদের যাওয়ার জন্য রাস্তা দেয় না। সেখানকার জমি বিক্রি করে রাস্তা তৈরির কথা শুনে প্রতিপক্ষরা আমাদের ওপর হামলা, মারধর, বাড়ি ভাঙচুর ও লুট করেছে। গবাদি পশুও নিয়ে চলে গেছে তারা।’  

জমি কিনতে চাওয়া শিল্পী বলেন, ‘গত শুক্রবার জমি বায়নার জন্য আমি ঢাকা থেকে রাজশাহী আসি। ওইদিন আমি বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় বায়নার বিষয়ে রাতে কথা বলতে যায়। প্রতিপক্ষরা টের পেয়ে এই হামলা চালিয়ে জমির বায়না করা নগদ ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও আমার ৯ ভরি স্বর্ণ লুট করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলে দোষীদের খুঁজে বের করা যাবে।’ 

অভিযুক্ত আয়নাল হোসেন বলেন, ‘শিল্পী যে অভিযোগ করছেন তা তার মনগড়া কথা। তারা শহর থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে এসে আমার চাচার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। আমাকে মারার জন্য রাত ১টা পর্যন্ত তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা বসেছিল। আমাদের এখানে যে জমি আছে তা এখনো ভাগাভাগি করা হয়নি। উল্টো তিনি এই জমি দখলে নিতে নাটক সাজিয়েছেন।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান আলী বলেন, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি থানায় অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে কয়েকটি পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে কাউকে এখনও আটক করা হয়নি। তদন্ত করে অবশ্যই দোষীদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেয়া/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়