ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

বাঁশের সাঁকোই পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ভরসা

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০১, ২১ আগস্ট ২০২৩  
বাঁশের সাঁকোই পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ভরসা

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের নতুন আন্ডারচর ও চরফতে বাহাদুর ইউনিয়নের নতুন চরদৌলাত খাঁন গ্রামের মধ্যবর্তী আড়িয়াল খাঁ নদের একটি খালের ওপর সেতু নেই। প্রাচীন এই খালটির ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়েই ৫-৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বর্ষা এলে বাড়ে চরম দুর্ভোগ। ঝড়বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার। 

সাঁকো পারাপারে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। এছাড়া আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষ যাতায়াত, মৎস্য ঘেরে খাবার পৌঁছানো, মাছ এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন সবাই। বছরের পর বছর একটি ব্রিজের অপেক্ষায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা। 

সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, কয়েক বছর ধরে কয়েকজন এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই খাল পারাপার হন পথচারীরা। সাঁকোটি নষ্ট হলে চাঁদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে আবারো তা সংস্কার করেন এলাকাবাসী। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন এ পথে চিঠিরচর, নতুন আন্ডারচর ও নতুন চরদৌলাত খাঁনসহ ৫-৬টি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। এছাড়া এই সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, কিষাণ-কিষাণী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ। খালের ওপর পাকা সেতু না থাকায় স্থানীয় কৃষকদের মাছ, ধান ও কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন।  প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোটিতে চলার সময় সেটি দোলে, থরথর করে কাঁপতে থাকে। আবার অনেক স্থানে বাঁশ-খুঁটি পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ভগ্নপ্রায় বাঁশের সাঁকোটির ওপর দিয়ে অতি কষ্টে ও সাবধানতা অবলম্বন করে পারাপার হচ্ছে মানুষ। অনেকে সাইকেল মাথার ওপর তুলে একহাত দিয়ে বাঁশ ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার হচ্ছেন। 

একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সাঁকো পার হয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হয়। অনেকে প্রায়ই সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় খালের পানিতে পড়ে যায়। 

আবু আলেম সরদার, নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, খোকন বেপারী, ও লোকমান ঢালীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই খালের ওপর আমাদের ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটে পাস করার পর আর তাদের প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না। এই খালের ওপর ব্রিজ না থাকায় আমাদের অনেক ধরনের সমস্যায় পরতে হচ্ছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই আমাদের খালের ওপর যেন তারা দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহিম মুরাদ সরদার বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করা হবে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেলাল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়