ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩০ ১৪৩১

৩০ মিনিটে পদ্মার পেটে ১২ বাড়ি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ২২ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ১৮:৫৮, ২২ আগস্ট ২০২৩
৩০ মিনিটে পদ্মার পেটে ১২ বাড়ি

পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকিতে থাকা ৪৬ নং চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ধূলশুড়া ইউনিয়নে মাত্র ৩০ মিনিটের ভাঙনে পদ্মা নদীতে ১২টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। এছাড়া নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুলসহ অর্ধ শতাধিক স্থাপনা। সোমবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নের আবিধারা ও ইসলামপুর এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেয়।

এদিকে, পদ্মায় বিলীনের পথে রয়েছে ৪৬ নং চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ইসলামপুর গ্রামের গৃহবধূ ময়না বেগম বলেন, ‌‘সরিষা ৫ মণ, ৫০ মণ ধান, ৪ মণ তিল ও ভুট্টাসহ আমার ঘর পদ্মা নিয়ে গেছে। ৩০-৪০ মিনিটে আমার সব শ্যাষ। আমরা পথের ফকির হয়ে গেছি।’

আরো পড়ুন:

হারুন ও সাগর জানান, আবিধারা ও ইসলামপুর গ্রামের লিটনের ঘর, বাদলের ঘড় ৩টা, রফিজ, কালামের বাড়ি, সেকেন্দারের দোকান, শাহিনের বাড়ি, আফজাল বিশ্বাস, সিদ্দিক মেম্বারের বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ১২টি বাড়ির ঘর ও ধান, ভুট্টা, তিল পদ্মায় পড়ে গেছে।

মোহনপুর এলাকার সাগর বলেন,  ‘স্থায়ী বেরি বাঁধ না হলে যা আছে সব শ্যাষ হইব। রাইতে ভূমিকম্পের মতো সব শ্যাষ হইয়া গেছে। আমরা যাবো কই।’

কাঞ্চন বেপারি বলেন, ‘আধা ঘণ্টায় আমগো সব শ্যাষ হইয়া গেছে। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি, আমগো এমন দশা হইবো। আমগো দুঃখের শ্যাষ নাই।’

ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভাঙনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিলো। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেরছ। তবে হঠাৎ করে ভাঙনে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে গেলো। স্কুলটি বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।’ 

ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ভূমিকম্প হচ্ছে। ৩০-৪০ মিনিটে ১২টা বাড়ি শেষ। স্কুল যেকোন সময় শেষ হয়ে যাবে। গতকাল চোখের সামনে বাড়ি গুলো শেষ হতে দেখছি। সারা রাত পদ্মার পাড়ে ছিলাম।’

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত)  তাপসী রাবেয়া  বলেন, ‘আমি ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আছি। এডিসি জেনারেল স্যারও আসছেন। পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন। পানি উন্নয়ন বিভাগ কাজ করছে।’

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘সকাল থেকে স্পটে রয়েছি। এ এলাকায় পানি উন্নয়ন বিভাগ থেকে আপদকালীন সময়ে ১২০০ মিটার কাজ চলছে। হঠাৎ করেই গতরাতে কয়েকটি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ও ডাম্পিং শুরু করেছি। আশা করি ভাঙন রোধ হবে।’

চন্দন/ মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়