ঢাকা     সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক

নির্মাণের এক বছরেই দেবে গেছে অনেক স্থান 

মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০২, ২৬ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ১০:২২, ২৬ আগস্ট ২০২৩
নির্মাণের এক বছরেই দেবে গেছে অনেক স্থান 

নবনির্মিত ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৭ কিলোমিটার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বেহাল দশা। প্রতিনিয়ত এই সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটির বিভিন্ন স্থান দেবে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। নির্মাণের এক বছর পার না হতেই অকেজো হয়ে পড়েছে সড়কটি। বৃষ্টির কারণে এর সংস্কারে আকাশের দিকে তাকিয়ে সড়ক ও জনপথ। 

মহাসড়কের বিরামপুরের ঢাকা মোড় ও রেলগেটে গিয়ে দেখা যায়, নবনির্মিত এই সড়কের মাঝখানে দেবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দেবে যাওয়া এসব গর্তের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট-বড় সকল যানবাহন। মাঝেমধ্যে এসব গর্ত সংস্কার করলেও তা আবারও গর্তে রূপ নিচ্ছে। 

২০১৮ সালের জুলাই মাসে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তা শেষ হয় গত বছরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণের কারণে সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

রাসেল, কুদ্দুসসহ কয়েকজন স্থানীয় ও পথচারীরা বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আমাদের এই সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছেন। অথচ এক বছর না যেতেই সড়কের বেহাল দশা। উঁচুনিচু খাদের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থান দেবে গেছে। ছোট-বড় সব যানবাহন আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে। এসব স্থানে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, গাড়ি পাল্টি খায়। মাঝেমধ্যে এসব স্থান সংস্কার করে, আবার যা তা হয় যায়। আমরা চাই এই সড়ক আবারও ভালভাবে নির্মাণ করা হোক।

রবিউল ইসলাম নামে একজন অটোচালক বলেন, খুব ভয়ে এই রাস্তায় চলাফেরা করতে হয়। রাস্তার যে অবস্থা কখন কি হয়, যাত্রীদের নিয়ে খুবি ভয়ে চলতে হয়। এর আগে এই উঁচুনিচু জায়গাটিতে আমার গাড়ি উল্টে গিয়েছিলো।

ট্রাকচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এতো টাকা ব্যয়ে নির্মিত দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কটি এতো অল্প সময়ে নষ্টের দিকে। বিশেষ করে বিরামপুরের কয়েকটি স্থান মারাত্মকভাবে দেবে গেছে। পণ্য বোঝাই গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে খুবি ভয় পাই।

বিরামপুর পৌর মেয়র আক্কাস আলী বলেন, এই মহাসড়কটি নওগাঁর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। কিছুদিন আগে সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। তবে কাজের গুণগতমান ভালো হয়নি। আমার বিরামপুর পৌরসভার বেশ কিছু জায়গা ঢাকা মোড় ও রেলগেটের স্থান দেবে গিয়ে গর্ত হয়েছে। এর আগে আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বললে ঐ স্থানগুলো সংস্কার করে দেয়। তবে কয়েকদিন পর আবারও সেখানে আগের মতো গর্ত হয়ে গেছে। এসব স্থানে যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। আমি প্রতিনিয়ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করছি। আশা করছি তারা দ্রুত সড়কটি মজবুত করে নির্মাণ করবে।

দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা এম আজিজ বলেন, এই মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থান দেবে গেছে, আমি জানি। বর্তমানে প্রতিদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় কাজ করলে তেমন ভালো হবে না। আকাশের অবস্থা ভালো হলেই দ্রুত সড়কের যেসব জায়গায় গর্ত হয়েছে তা সংস্কার করা হবে।

/টিপু/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়