বড়পুকুরিয়ার ১১১৩ ফেসের কয়লা শেষ, উৎপাদন বন্ধ
দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেসের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। এই ফেসে কয়লা মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন ফেসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য আজ বুধবার খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিসিএমসিএল এর ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত আছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখা সম্ভব হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, মজুত শেষ হওয়ায় ওই ফেস এর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আবারও নতুন একটি ফেস থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হবে। তবে, এসময়ের মধ্যে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট কয়লা মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তাপ বিদ্যুতের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ওভার হোলিং এর কারণে দুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে আছে। কয়লা স্বল্পতার কারণে ২০১৯ সাল থেকে এক নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপ বিদ্যুতের এই ইউনিটটি সচল রাখা সম্ভব।তবে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিনটি ইউনিট চালু রাখতে গেলে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন কয়লার প্রয়োজন।
মোসলেম/ মাসুদ