ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

এডিসি হারুনের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
এডিসি হারুনের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা ছাত্রলীগ ও কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যৌথ আয়োজনে শহরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ চত্বরে মানববন্ধন হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় মারধর করার ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগ থেকে বদলি হওয়া হারুন অর রশিদকে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

কাপাসিয়া উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল হাসান মামুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মাসুম প্রধানসহ সকল ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল হাসান মামুন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাদের এডিসি হারুনের নেতৃত্বে নির্মমভাবে নির্যাতনের কারণে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’ 

গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রলীগ কাপাসিয়া উপজেলা শাখা সভাপতি মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা স্বাক্ষরিত পত্রে এ ঘটনায় গণমাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদ জাননো হয়। এতে বলা হয়, যারা পুলিশের মহান পেশা কুলষিত করতে চায়, তারা দেশের শত্রু। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে কাপাসিয়া ছাত্রলীগ।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ঢাকার শাহবাগ থানার ওসির (তদন্ত) কক্ষে গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের মারধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা গিয়ে থানা থেকে আহত নেতাদের উদ্ধার করেন।

পুলিশের মারধরের শিকার ছাত্রলীগের তিন নেতা হলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরে গেছেন।

মারধরের এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ জানান।

ভুক্তভোগী নেতাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘটনার জেরে এডিসি হারুন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। 

এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনারকে (অপারেশনস) প্রধান করে গঠিত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
 

রফিক/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়