ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

এমটিএফই’র নামধারী ৬ সিইওর নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৩:৩৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এমটিএফই’র নামধারী ৬ সিইওর নামে মামলা

মেটা ভার্স ফরেন একচেঞ্জ গ্রুপের (এমটিএফ) নামধারী ৬ সিইওসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন। মামলার বাদী হলেন নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড রোডের বাসিন্দা মো. ইউসুফ আলী।

আসামিরা হলো- নগরীর বান্দ রোড নুরজাহান মঞ্জিলের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৪৮), তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮), নগরীর সিএন্ডবি রোডের বাসিন্দা সালাম সরদারের ছেলে নোমান আহম্মেদ সরদার (৩০), নগরীর বিএম কলেজ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন সরদারের ছেলে মিলন হোসেন বাদশা (৪৮), তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪০) ও তার ছেলে অলিউল ইসলাম (৩০)।

বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ছদ্মবেশ ধারণ করে ইলেকট্রনিক্স প্রতারণার মাধ্যমে অর্থের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বরাতে তিনি জানান, আসামিরা মাফিয়াসহ জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য। এমএলএম এর আদলে ই-লেনদেনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

মামলার বাদিসহ ১০ সাক্ষীর সঙ্গে পূর্বপরিচিত হওয়ায় তাদের বরিশাল নগরীর বিভিন্ন নামীদামী হোটেলে নিয়ে ই-লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসা করে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় লাভ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।

আসামিদের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের প্রমোকোডের মাধ্যমে ১১ জন এমটিএফইতে একাউন্ট খোলেন। পরে আসামিরা নিজেদের অর্থায়নে কিছু ডলার জমা করে প্রলুব্ধ করেন।

গত ১ মে থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ১১ জন বিভিন্ন সময়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জমা করেন। গত ১২ আগস্ট তারা আসামিদের কাছে গিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য নগরীর সিএন্ডবি রোড ফারজানা কমিউনিটি সেন্টারে নোমান আহমেদের সেবা অনলাইনের অফিসে যান।

সেখানে যাওয়ার পরে নামধারী ৬ আসামি জানান, সফটওয়ার আপডেটের কারণে ডলার উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে লভ্যাংশসহ উত্তোলন করা যাবে। ১৮ আগস্ট রাতের মধ্যে বাদিসহ ১০ জনের সব তথ্যে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

১৯ আগস্ট সেবা অনলাইনের অফিসে গেলে আসামিরা জানান, সব টাকা উত্তোলন করে নোমান এমটিএফ’র প্রধান সিইও মাসুদের কাছে দুবাই চলে গেছে। সে ফিরে এলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

২০ আগস্ট নোমানকে পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে জানান, টাকা বিদেশিরা নিয়ে গেছে। পরে আসামিরা টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

স্বপন/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়