ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

মাতারবাড়ি চ্যানেল বুঝে পেলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ  

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১১:৫৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মাতারবাড়ি চ্যানেল বুঝে পেলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ  

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল। গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যানেল হস্তান্তর করেন। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল গ্রহণের ফলে এখন থেকে চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ পরিপূর্ণভাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যাস্ত থাকবে। এ চ্যানেলের মাধ্যামে আগত সমুদ্রগামী জাহাজের পোর্ট ডিউজ, বার্থ হায়ার চার্জ, পাইলটিং, টাগ চার্জ, বার্থিং আনবার্থিং ও অন্যান্য চার্জ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক আদায় করা হবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আদায় হবে যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়,  সরকারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে সিপিজিসিবিএল কর্তৃক মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৫০ মিটার প্রস্থ, ১৮ দশমিক ৫ মিটার (এমএসএল) গভীরতার একটি চ্যানেল খনন করা হয়। পরবর্তীতে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০০ মিটার বর্ধিত করে ৩৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়। নির্মিত চ্যানেল ও হারবার নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার জন্য সিপিজিসিবিএল কর্তৃক ১ হাজার ৭৫৩ মিটার উত্তর ব্রেকওয়াটার, ৭১৩ মিটার দক্ষিণ ব্রেকওয়াটার এবং উত্তর দিকে ১৮০২.৮৫ মিটার রিভেটমেন্ট নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল হস্তান্তর বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে মাতারবাড়ি চ্যানেলটি সিপিজিসিবিএল কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গতকাল বুধবার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান। এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১, মহাপরিচালক (প্রশাসন), পুলিশ কমিশনার, কাস্টমস কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেজাউল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়