জমি নিয়ে বিরোধ: লক্ষ্মীপুরে স্কুল ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![জমি নিয়ে বিরোধ: লক্ষ্মীপুরে স্কুল ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ জমি নিয়ে বিরোধ: লক্ষ্মীপুরে স্কুল ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023September/Laxmipur-1-2309221227.jpg)
লক্ষ্মীপুরে দুই দফা হামলা চালিয়ে একটি বিদ্যালয়ের ১০টি সেমিপাকা ও দুটি টিনসেড শ্রণিকক্ষ ভাঙচুর করা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এবং শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার পালেরহাট মডেল একাডেমিতে ঘটনাটি ঘটে।
জমির মালিকানা দাবি করে তোফায়েল আহমেদ ও আবু তাহের নামের দুই ব্যক্তি দলবল নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ কামাল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ কামাল ও তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের মা ফাতেমা বেগম এই জমির মালিক। ২০১৪ সালে এ জমিতে বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। কিন্তু তাদের মায়ের চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমেদ, আবু তাহের ও খোরশেদ জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বৈঠক হলেও তোফায়েলরা জমির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সর্বশেষ গত ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়েও বৈঠক হয়। সেখানেও তারা কোনো কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জমি দখল করতে তোফায়েলরা দলবল নিয়ে হামলা চালায় এবং বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করে। বাজারের একজন নৈশ প্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। সেসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ চলে গেলে আজ ভোরে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তারা আবারও ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষসহ ১০ টি সেমিপাকা, দুটি টিনসেড শ্রেণিকক্ষ, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ সব আসভাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে দুটি ল্যাফটপ ও শিক্ষকদের মাসিক বেতনের জন্য রাখা ১ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত ও মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবারও আমরা বিদ্যালয়ে ক্লাস করেছি। কারা যেন হামলা চালিয়ে আমাদের স্কুল ভেঙ্গে ফেলেছে। সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ক্লাস করতে না পারলে আমাদের পড়ালেখায় সমস্যা হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ কামাল বলেন, দুই দফা হামলা চালিয়ে পুরো বিদ্যালয় ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছ উজ জামান বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল এসে ভাঙচুরের সত্যতা পাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর আমরা চলে গেলে ফের স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থল এসে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হামলাকারীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর/ মাসুদ
আরো পড়ুন