কয়েক কোটি টাকা নিয়ে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা উধাও
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বহু গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে চরলরেন্স ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চরলরেন্স বাজারের এজেন্ট ব্যাংকের শাখা তালাবদ্ধ রয়েছে। ব্যাংকের সামনে শতাধিক গ্রাহক ভিড় করে আছে। তিন দিন ধরে ব্যাংকের দায়িত্বশীল কারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল হক ও ইউছুফ আলী জানান, ২০১৫ সালের দিকে উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের হাবিব উল্লার ছেলে মহিউদ্দিন কুতুব উল্লাহ চরলরেন্স বাজারে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের শাখা চালু করেন। প্রথমে তার ছোট ভাই হারুনুর রশীদ স্বত্বাধিকারী ছিলেন। পরে তিনি নিজে এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব নেন। তারা দুই ভাই ভালো আচরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেন। এতে উপজেলার চরলরেন্স, চরজাঙ্গালিয়া, চরপাগলা, করইতলাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার দুই হাজার গ্রাহক থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। হঠাৎ তিন দিন ধরে তারা সবাই গা ঢাকা দেন। বর্তমানে ওই এজেন্ট ব্যাংকের শাখা তালাবদ্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে চরপাগলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইব্রাহিমের স্ত্রী রওনক জাহান জানান, ৬ মাস আগে এ শাখায় তিনি ৫ লাখ টাকা জমা রাখেন। প্রতি মাসে ৬ হাজার ৩০০ টাকার লোভ দেখানো হয় তাকে। তিনি বলেন, তার চাচাত ভাই মান্টু মিয়া ১০ লাখ টাকা রেখেছেন এ শাখায়।
চরলরেন্স বাজারের ব্যবসায়ী মো. লিটনের ৪০ লাখ, মুরাদের ৩০ লাখ, মুন্সিরহাট এলাকার জান্নাতুল ফেরদৌসের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা রেখেছেন।
লক্ষ্মীপুর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাঈনুদ্দীন মিয়া জানান, তিনি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এজেন্ট শাখাটি পরিদর্শন করেন। এখন এই শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে মর্মে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি তারা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ‘অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে বুধবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লিটন/বকুল