বড়শি দিয়ে মাছ ধরে পুরস্কার পেলেন আড়াই লাখ টাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
৫ কেজি ও সাড়ে ৪ কেজি ওজনের দুটি কাতলা মাছ ধরে আড়াই লাখ টাকা পুরস্কার পান চয়ন
২৩ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন চয়ন ঠাকুর। সারা দিন বড়শি পেতে তিনি ৫ কেজি ও সাড়ে ৪ কেজি ওজনের দুটি কাতলা মাছ ধরে প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। সেই সঙ্গে জিতে নিয়েছেন আড়াই লাখ টাকাও।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়ার দেওয়ান দিঘিতে বড়শি দিয়ে (ছিপ) মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেওয়ান দিঘি মৎস্য চাষ সমিতি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মেড্ডা এলাকার কাজল মিয়া ৪ কেজি ৭৫৭ গ্রাম ওজনের কাতলা মাছ শিকার করে দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ টাকা। একই এলাকার জারু মিয়া ৪ কেজি ৩৪৭ গ্রাম ওজনের কাতলা শিকার করে চতুর্থ হয়ে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া জামাল হোসেন ৩ কেজি ৭৩৫ গ্রাম ওজনের কাতলা শিকার করে পঞ্চম হন। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা।
দেওয়ান দিঘি মৎস্য চাষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মোল্লা বলেন, প্রতিবছর এ দিঘিতে তিন থেকে চারবার এ রকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এটি এ বছরের দ্বিতীয় আয়োজন। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মৎস্য শিকারিরা অংশ নেন। এটি উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্য। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ২৫ জন মৎস্য শিকারি অংশ নেন। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও ঢাকা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রত্যেক মৎস্য শিকারিকে ২৩ হাজার টাকা ফি দিতে হয়েছে। প্রতিযোগীদের জন্য ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার পাঁচটি পুরস্কার। মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা দেখতে দিঘির চারদিকে বিপুল দর্শকের উপস্থিত ছিলেন। এ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন সরাইল উপজেলা শৌখিন মৎস্য শিকার সমিতির সভাপতি রতন বক্স।
প্রথম ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী চয়ন ঠাকুর বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকি। আজ দুটি পুরস্কার পেয়ে ভালোই লাগছে।
মাইনুদ্দীন/ মাসুদ