টাঙ্গাইলে সরকারি জায়গা দখল করে চলছে মার্কেট নির্মাণ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন বারবার অভিযান পরিচালনা করেও মার্কেট নির্মাণ বন্ধ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধনবাড়ী সবজি বাজারে খাস জমিতে ৯ রুম বিশিষ্ট দোকান ঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী। বিশাল জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব রুম। বর্তমানে এসব রুমগুলোতে সার্টার লাগনো ও ছাদ করা বাকি রয়েছে। 

উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের তথ্যমতে, খাস খতিয়ানভুক্ত ধনবাড়ী সবজি বাজারে কিসমত ধনবাড়ী মৌজায় ১৪০৯ নম্বর দাগে ১.৭৫ শতাংশ এবং বর্নিচন্দবাড়ী মৌজায় ১৩৫৪ দাগের মধ্যে ০.৬৫ শতাংশের মধ্যে মার্কেট নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। কাজ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করেছে প্রশাসন। এছাড়া কয়েকজনকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। তারপরও প্রশাসনকে না মেনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মার্কেট নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধনবাড়ী বাজার বনিক সমিতির পরিচালক কিসমত, ব্যবসায়ী মোস্তফা ডাক্তার, আজা মুন্সি, কুদ্দুস, হানি, রফিকুল ইসলাম লিটনসহ ১৪ জন মিলে সরকারি জায়গায় মার্কেট নির্মাণের কাজ করছেন। পূর্ব থেকে দখল সূত্রে তারা সেখানে কয়েকজন মিলে মার্কেট নির্মাণ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারি জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছেন অভিযুক্তরা। প্রশাসন বাঁধা দিলেও তারা মানছে না। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি জায়গায় মার্কেট নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। 

মার্কেট নির্মাণ করা ব্যবসায়ী মোস্তফা ডাক্তার বলেন, আগে থেকেই আমরা সেখানে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছি। দোকান ঘরগুলো পরিত্যাক্ত হওয়ায় সবাই মিলে মার্কেটের কাজ করছি। অনেকের কাছে জমির কাগজ আছে আবার অনেকের কাছে নেই। 

মার্কেট নির্মাণের সঙ্গে থাকা অপর ব্যবসায়ী লিটন বলেন, আমাদের জায়গাতে মার্কেট নির্মাণের কাজ হচ্ছে। কাগজপত্র রয়েছে আমাদের কাছে। তারপরও প্রশাসন সরকারি জায়গা দাবি করে কাজ বন্ধ করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়েই কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও তারা কাজ বন্ধ রাখেনি। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মার্কেট নির্মাণের মালামাল জব্দ করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে সরকারি জায়গা হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, মাকের্ট নির্মাণ বন্ধে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা রাতের আধারে কাজ করেছেন। রাতের আধারে যাতে কাজ করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি জায়গা উচ্ছেদে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।