বরিশালে বোর্ডের খাতা শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন!

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিক্ষার্থীদের দিয়ে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের খাতা মূল্যায়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ডের খাতা নিয়ে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রত্মপুর ইউনিয়নের মোহনকাঠি আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের কারিগরি বিএম শাখায়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকদের নজরে আসে।

চলতি এইচএসসি পরীক্ষার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিএম শাখার খাতা দেখার দায়িত্ব পান মোহনকাঠি আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের বিএম শাখার প্রভাষক গোপাল মন্ডল। তিনি তার কলেজের বিএম শাখার শিক্ষার্থীদের দিয়ে সেই খাতা মূল্যায়ন করান। আর শিক্ষার্থীরা তখন ওই খাতা পেয়ে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘গোপাল মন্ডল স্যার বোর্ডের খাতা মূল্যায়নের জন্য আমাদের দায়িত্ব দেন। আমরা স্যারকে সহযোগিতা করতে কয়েকটি শিট পূরণ করেছি।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন মোবাইলে সেলফি তুলছে এবং অন্য শিক্ষার্থীরা মূল্যায়নের জন্য খাতা নিয়ে বসে আছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক গোপাল মন্ডল বলেন, ‘বোর্ডের খাতা মূল্যায়নের জন্য কয়েকটি শিট পূরণ করতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করার জন্য বলেছিলাম। এটা আমার ভুল হয়েছে।’ 

খবর পেয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র অধিকারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে তার কাছ থেকে আমরা এটা আশা করিনি। খাতা মূল্যায়নের জন্য শিক্ষা বোর্ড যাচাই-বাছাই করে শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়। আর সেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে সেই খাতা দেওয়া এটা মারাত্মক অপরাধ। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া ছিল। খাতা মূল্যায়নের সময় গোপনীয়তা রক্ষা করে একান্ত কক্ষে বসে কাজ করা। খাতা মূল্যায়নকারীর ভুলে অনেক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়ে যেতে পারে।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বোর্ডের পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের দিয়ে সেই খাতা মূল্যায়ন করা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।