ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবেতর জীবন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৬ অক্টোবর ২০২৩  
গোপালগঞ্জে টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবেতর জীবন

মাত্র এক মিনিটের টর্নেডোতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় অন্তত ৭০ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিদ্যুতহীন রয়েছে এই উপজেলার চারটি গ্রাম। বাড়ি ঘর হারিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুকসুদপুর উপজেলার বাসুদেবপুর, মহাটালী, ডিগ্রিকান্দি, টিকারডাঙ্গা গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় টর্নেডো।

এদিকে, ঘটনার পর শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মুকসুদপুর উপজেলার বাসুদেবপুর, মহাটালী, ডিগ্রিকান্দি, টিকারডাঙ্গা গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় টর্নেডো। মাত্র এক মিনিট স্থায়ী এ টর্নেডোতে বিধ্বস্ত হয় অন্তত ৭০ বাড়িঘর। উপড়ে পড়ে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। এতে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে গ্রামগুলো। টর্নেডোর সময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এই ঘটনায় ওইসব গ্রামের কয়েক’শ লোক সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত ডিগ্রিকান্দি গ্রামের তারেক লষ্কার জানান, রাতে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে আমার বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। এলাকার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছি। পরিবারের লোকজন নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছি। সরকারের কাছে আমাদের সাহায্যের আবেদ জানাই। 

মহাটালী গ্রামের কাশেম লস্কর, আজগার আলী লস্কর বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে ঝড় ওঠে। এই ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট। ঝড়ের তাণ্ডবে ৪ গ্রামের অসংখ্য বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসহায় পরিবারগুলো বসতঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। 

মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এক মিনিটের টর্নেডোতে ৪ গ্রামের ৪০টি পরিবারের ৭০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। টর্নেডোতে ১৫ জন আহত হন। তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। 

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ইমাম রাজী টুলু বলেন, টর্নেডোতে ৪টি গ্রামের ৪০টি পরিবারের ৭০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়ে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনের কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত গরিব ও অসহায় পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। তালিকা করে তাদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়