ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান, সেই ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১০, ৬ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৯:৪৮, ৬ অক্টোবর ২০২৩
বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান, সেই ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি দেখে ক্ষোভে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমন (২২) কে দেখতে হাসপাতালে গেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি ইমনের পাশে কিছু সময় কাটান তিনি। এ সময় তথ্যমন্ত্রী অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত তার সুস্থতা কামনা করেন।

নীরব ইমন রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাবা মোহাম্মদ জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি। এর আগে, গতকাল বিকেলে নিজ বসতঘরে বিষপান করেন ইমন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহির চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইমনের মেসেঞ্জারে পাঠান তার বন্ধুরা।

বিএনপির রোডমার্চে বাবার অংশ নেওয়া মেনে নিতে পারেননি ইমন। ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়িতে ছুটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন এবং একপর্যায়ে বিষপান করেন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে ইমন সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ রাজনীতি করে দেশের উন্নয়নের জন্য। আমার বাবা অনেকদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তার দল রাঙ্গুনিয়ায় কোনো উন্নয়ন করেনি। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ায় হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। তিনি হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে চাকরি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাবাকে অনেকবার নিষেধ করেছি, কিন্তু শোনেনি। সে বিএনপির রাজনীতি করবে, আর বন্ধুরা আমাকে তা দেখাবে; সেটা মেনে নিতে পারিনি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার বলেন, বিষপানে অসুস্থ ইমনকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। প্রথমে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন অবস্থা খুব খারাপ ছিল। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

রেজাউল/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়