ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

শেরপুরে মৃগী নদীতে ভাঙন, ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ৯ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৯:০৮, ৯ অক্টোবর ২০২৩
শেরপুরে মৃগী নদীতে ভাঙন, ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে

শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কড়ইতলা মোড় থেকে নন্দীর বাজার হাইওয়ে পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি মৃগী নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত ৩ দিনে সড়কটির তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১০০ ফুট নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে ওই সড়কে সব প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের সাত গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

গ্রামবাসী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি, এখনই ভাঙন ঠেকানো না গেলে আশপাশের জমি ও ফসলি খেত নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। তাই দুর্ভোগ কমাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচিত হবে দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভা সীমানা বরাবর বয়ে গেছে গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা মৃগী নদী। এ নদীতে সাধারণত খুব বেশি পানি থাকে না। তবে উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে এলে এ নদীর চিত্র পাল্টে যায়। তখন এই নদীতে প্রবল বেগে পানির স্রোত দেখা দেয়। একই সঙ্গে দেখা দেয় ভাঙন। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে গত শুক্রবার থেকে কড়ইতলা-নন্দীর বাজার সড়কের তালুকপাড়া গ্রামের প্রায় ১ ফুট কাঁচা সড়কটি নদী গর্ভে চলে যায়। ফলে ওই সড়কে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে এই সড়কে চলাচলরত ব্যাবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, আমি ইতোমধ্যে কয়েক দফা ভাঙন রোধে নদীতে মাটি ফেলে চেষ্টা করেছি। কিন্তু পানির স্রোতে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়নি। আমি নদী ভাঙনের বিষয়টি ইউএনও, ডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাদ্দ চেয়ে পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়