মাদারীপুরে হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড 

মাদারীপুরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালককে হত্যার দায়ে দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদাউস এই রায় ঘোষণা করেন। পালাতক থাকায় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের পাঁচখোলা গ্রামের আউয়ালী বেপারীর ছেলে সজিব বেপারী (২৭) ও একই গ্রামের আব্দুল খানের ছেলে মিঠুন খান (৩১)। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামের বোরহান মাতুব্বর (১৮) জীবিকা নির্বাহের জন্যে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালতেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরের দিন ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। ২ জানুয়ারি বোরহানের মোটরসাইকেলটিসহ সজীব বেপারী ও মিঠুন খানকে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জানুয়ারি মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদের কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে বোরহানের লাশ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ওই দিনই সজীব বেপারী ও মিঠুন খানকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরিউল মাতুব্বর। ওই বছরের ১০ জুলাই তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন সদর থানার এসআই বারেক করিম খান। 

মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়। রায়ে সজিব বেপারী ও মিঠুন খানকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। লাভলু গাজী নামে অপর এক আসামিকে খালাস দেন বিচারক। 

মাদারীপুর দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, আসামিরা মোটরসাইকেলের জন্যে একজন গরিব অসহায় ছেলেকে হত্যা করেছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের চেষ্টা করেছি। আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে আমরা খুশি।