ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

যশোরে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৯ অক্টোবর ২০২৩  
যশোরে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি

যশোর জেলা সবজি উৎপাদনে একটি উর্বর ক্ষেত্র। সারাদেশে মোট সবজি চাহিদার ৬৫ শতাংশ যশোর থেকে সরবরাহ করা হয়। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার বেশি সবজি উৎপাদনের আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশ আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। তবে সার, কীটনাশক, জ্বালানী ও পরিবহন খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলায় চলতি বছরে সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে, আগাম চাষের শীতকালীন সবজি ইতিমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আগাম চাষে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির উৎপাদন হয়েছে। মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ শতাংশ আবাদ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে যশোর কৃষি বিভাগ।

যশোর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, জেলায় চলতি বছর ৭৫০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি, ৭৬০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ৫০০ হেক্টর জমিতে টমেটো, বেগুন ৫০০ হেক্টর, পালংশাক ৩০৭ হেক্টর, মুলো ১০৫০ হেক্টর, লাল ও সবুজ শাক যথাক্রমে ৩০০ ও ২০০ হেক্টর এবং ৬৩০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে, ফলনে সাড়া ফেলেছে শিম।

এদিকে, এ বছর জ্বালানী তেলসহ পরিবহন খরচ ও সার কীটনাশক খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদন খরচের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাজারদর ও লাভের পরিমাণ নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন কৃষকেরা।

সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ বাশার বলেন, কৃষকরা আড়ৎ ও ফাড়িয়াদের কাছে ভিম্মি। ওরা দাম পায় কিন্তু আমরা পাই না। ফলে প্রতি বছর আমাদের ঋণ নিয়ে সবজি লাগাতে হয়, আর গরু ছাগল বিক্রি করে ঋণ শোধ করতে হয়।

একই গ্রামের ইসহাক হোসেন বলেন, চলতি বছর ২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেছি। নতুন জাত লাগিয়েছি, আসা করি ফলন ভালো পাব। কিন্তু দাম ভালো দাম পাব কিনা জানি না। আমাদের উৎপাদন খরচ এ বছর অনেক বেশি। যেখানে গত বছর এক বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ ছিল ৫-৭ হাজার টাকা, সেখানে এ বছর খরচ হয়েছে ৮-১০ হাজার টাকা।

সদর উপজেলার কোদালিয়া বাজার এলাকার মমিন উদ্দিন বলেন, আমরা যে সবজির দাম পাই ৫ টাকা, ওই সবজি আড়ৎদার ফারিয়ারা বিক্রি করে ১৫-২০ টাকায়। এ জন্য কৃষকরা কখনো লাভ করতে পারে না। কৃষকদের দুঃখ লাঘবে বাজারে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) প্রতাপ মন্ডল বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার মোট আবাদের ৩৭ শতাংশ আবাদ ও উৎপাদন হয়েছে অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগ। আশা করি পর্যায়ক্রমে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি আবাদ হবে এবং ফলনও ভালো হবে। কৃষকদের নতুন নতুন জাতের সবজি চাষে আমরা নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছি।

রিটন/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়