ছাত্রীদের আপত্তিকর কথা বলার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ

ছাত্রীদের আপত্তিকর কথা বলার অভিযোগে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলী খানকে (৫৫) পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাসের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে, সকাল থেকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্কুলটি ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস সেখানে যান।

এসময় এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে এসিল্যান্ডের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় ওই শিক্ষক থানায় পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।

ধুরইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকালে গ্রামের সব মানুষ একত্রিত হয়ে স্কুলটি ঘেরাও করেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সবাইকে দূরে সরানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে এক কিশোর পড়ে গিয়ে আহত হয়। এতে লোকজন আরও উত্তেজিত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে শান্ত করি। এরপর এসিল্যান্ড আসেন। এলাকার লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের অশ্লীল-আপত্তিকর কথা বলতেন। গ্রামে বিষয়টা নিয়ে আলোচনার পর সবাই একত্রিত হয়ে আজ স্কুল ঘেরাও করেন। প্রধান শিক্ষককে থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগীরাও সেখানে গিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক এই স্কুলে প্রায় ১০ বছর আগে এসেছেন। তার বাড়ি মোহনপুরের মৌগাছি ইউনিয়নের মৌগাছি গ্রামে। এর আগে, তিনি যেই স্কুলে ছিলেন সেখানেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তীতে সেই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলাও হয়েছিল।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিপদ মণ্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের হেফাজতে আছেন। তবে, এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকেরা মামলা করবেন জানিয়েছেন। মামলা হলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।