ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

বান্দরবানে ৪ বছরেও শেষ হয়নি ছাত্রী হোস্টেলের নির্মাণ কাজ

চাইমং মারমা, বান্দরবান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১৭ অক্টোবর ২০২৩  
বান্দরবানে ৪ বছরেও শেষ হয়নি ছাত্রী হোস্টেলের নির্মাণ কাজ

বান্দরবান সরকারি কলেজের ছাত্রী হোস্টেল

চার বছরেও শেষ হয়নি বান্দরবান সরকারি কলেজের ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণের কাজ। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই কাজের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ালেও হোস্টেল নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় আবাসন সঙ্কট দূর হচ্ছে না দূর দূরান্ত থেকে পড়তে আসা ছাত্রীদের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের অবহেলাকে এর পেছনে দায় করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বান্দরবান শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে ৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩২ শয্যার পাঁচতলা বিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেলটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ আর এম ইঞ্জিনিয়ার্স। নির্দিষ্ট সময়ে ভবনের কাজ শেষ করতে না পারায় মেয়াদ বাড়ানো হয় আরো দুই দফা। কিন্তু এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি হোস্টেল ভবনটির দরজা, জানালা ও টাইলসসহ সাজসজ্জার কাজ। যার কারণে আবাসন সমস্যা থেকে মুক্তি মিলছে না ছাত্রীদের। 

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, দুর্গম এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও অল্প খরচে থাকার একমাত্র ভরসা বান্দরবান সরকারি কলেজ। নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীরা আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে এই কলেজে পড়ালেখা করেন। তাছাড়া জেলার একমাত্র সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এ কলেজ। আবাসন সঙ্কটের কারণে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিয়মিত ক্লাস থেকে। কলেজের অধিকাংশ ছাত্রী বাসা ভাড়া নিয়ে পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যেতে না পেরে মাঝপথে ঝরে পড়ছে। তাই দ্রুত হোস্টেল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ আর এম ইঞ্জিনিয়ার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মোস্তাক জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারণে বিলম্বের পাশপাশি পণ্যের দাম বাড়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দরবান সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভিন্ন বর্ষের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ হাজারেও বেশি। বিভিন্ন উপজেলার দরিদ্র শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষাগ্রহণে ছুটে আসেন সরকারি এই কলেজে। কিন্তু আবাসন সুবিধা না পেয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ থেকে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

বান্দরবান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দূর দূরান্ত থেকে এসে ভর্তি হয়েছেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারছেন না অনেকেই। এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই একদিন বাড়ি থেকে এসে ক্লাস করেন। যার কারণে পরীক্ষার ফলাফলও তেমন ভালো হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী হোস্টেলটি নির্মিত হলে দুর্গম এলাকার মেয়েদের পড়ালেখার পথ আরো সুগম হবে।

বান্দরবান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বরাদ্দ সঙ্কটের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হোস্টেল নির্মাণ কাজটি সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে হোস্টেল নির্মাণ কাজ শেষ হবে। 

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়