অতিবৃষ্টিতে পানির নিচে রাজশাহীর ৬৮০০ হেক্টর আবাদি জমি

সাম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে রাজশাহী বিভাগের ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর আবাদি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এতথ্য জানানো হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি বিভাগ সভায় জানায়, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে বিভাগের ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত হলেও সার্বিকভাবে ফসলের অবস্থা ভালো। 

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রাজশাহী বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমেছে। সাপে কাটা রোগীদের জন্য প্রতিটি জেলায় ৫০টি করে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা হয়েছে। 

তারা আরও জানায়, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মানুষকে নানা ধরনের ভ্যাকসিন দিচ্ছে যার মান নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এসব ভ্যাকসিন গ্রহণ নিরুৎসাহিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। শিক্ষক ও অবকাঠামো ছাড়াই মেডিকেল কলেজ ও ম্যাটসের মতো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি করার ফলে পরবর্তীতে যেন জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে স্বাস্থ্য বিভাগকে লক্ষ্য রাখতে বলেন তিনি।

খাদ্য বিভাগের বিতরণকৃত চাল যেন পুনরায় খাদ্যগুদামে না আসে, সে জন্য দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জেলা প্রশাসক ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তিনি গণপূর্ত দপ্তরকে মডেল মসজিদগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ প্রদান করেন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নির্বাচনকেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত ও কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, এলজিইডি ও নির্বাচন অফিসকে অনুরোধ করেন।

এছাড়া, জয়পুরহাট জেলার সোনালি মুরগি পাকিস্তানের মুরগি হিসেবে বাজারে বিক্রি হয় উল্লেখ করে তিনি এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ বিভাগকে সঠিক তথ্য প্রচারের নির্দেশনা প্রদান করেন। 

সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসকরা অংশগ্রহণ করেন।