বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘ম্রো’ ভাষায় অনুবাদ করলেন ইয়াংঙান
বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ম্রো সম্প্রদায়ের মাতৃভাষার জন্য কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করছিলেন ইয়াংঙান ম্রো। অন্য ভাষাভাষী মানুষের সামনে নিজের ভাষাকে তুলে ধরার ইচ্ছে থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি ‘ম্রো’ ভাষায় প্রথম অনুবাদ করেছেন তিনি। অনুবাদ করা বইটির নাম দিয়েছেন তিনি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তেক মি লাইক্ল’। সঙ্গে আরও একটি বই ‘ম্রোচ সাংচিয়া’ (ম্রো গল্পসমগ্র) উন্মোচন করেছেন তিনি।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বান্দরবান-থানচি রাস্তার চিম্বুক পাহাড় এলাকার রামরি পাড়ার জুমঘরে এ বই দুইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বড় বোন মৃত সংলেং ম্রো’কে বই দুটি উৎসর্গ করেছেন ইয়াংঙান ম্রো।
বই দুইটি উন্মোচনের সময় ইয়াংঙান ম্রো বলেন, নিজেদের মাতৃভাষা, সংস্কৃতি ও দেশের ঐতিহ্য ধরে রাখতেই বইগুলো লিখেছেন। তাছাড়া এই বইগুলো বর্তমান প্রজন্মের ম্রো শিশুদের সঙ্গে পূর্বপুরুষের যোগসূত্র তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, ছোটবেলায় মা-বাবা জুম কাজ শেষে বাড়িতে ফিরতেন। রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুম না আসলে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেন বাবা। মা-বাবার আশাছিল এই গল্পগুলো যেন ম্রো সম্প্রদায়ের সবাইকে বংশপরম্পরায় শোনানো হয়। সেই চিন্তা থেকে মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি ম্রো ভাষায় অনুবাদ করি।
ম্রো সমাজের ১০০টি লোককাহিনী নিয়ে 'ম্রোচ সাংচিয়া' (ম্রো গল্প সমগ্র) বইটি লিখেছেন ইয়াংঙান ম্রো। এ পযর্ন্ত তিনি ৩৩টি বই লিখেছেন। তার মধ্যে ২১ ম্রো ভাষায় ও ১২টি বাংলা ভাষায়।
দুটি বই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে রোয়াংছড়ি কলেজের প্রভাষক অমর বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, বঙ্গবন্ধু কৃষিপদক প্রাপ্ত বাগান চাষি তোয়ো ম্রো, শিল্পী প্রেন প্রে ম্রো ও গণমাধ্যম কর্মী বুদ্ধজ্যােতি চাকমা, উসিথোয়াই মারমা, সুফল চাকমা ও মংহাইসিং মার্মা উপস্থিত ছিলেন।
চাইমং/মাসুদ