ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি ৮ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণের কাজ

শাহীন রহমান, পাবনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ২১ অক্টোবর ২০২৩  
আড়াই বছরেও শেষ হয়নি ৮ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণের কাজ

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চর কুড়লিয়া গ্রামের গণির ঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের কাজ আড়াই বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুর কাজের মেয়াদ ইতোমধ্যে একবার বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। কাজ শেষ না হওয়ায় তাই প্রতিদিন পানি মাড়িয়ে চরে ফসল আবাদে যাতায়াত করতে হচ্ছে চাষিদের। এতে একদিকে যেমন বেড়েছে উৎপাদন ব্যয়, অন্যদিকে ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

পাবনা এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, ৭ কোটি ৯২ লাখ ৫ হাজার ৭৯৮ টাকা ব্যয়ে ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর। নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে না পারায় সময় বাড়ানো হয় এ বছরের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

চর এলাকায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে জীবিকা চলে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দশটি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার কৃষকের। প্রতিদিন পায়ে হেঁটে পানি মাড়িয়ে চরের জমিতে কাজ করতে যান তারা। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পোহাতে হয় তাদের। ফসলের মাঠে যানবাহন যেতে না পারায় একদিকে বাড়ছে উৎপাদন খরচ, অন্যদিকে ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। ব্রিজটির নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ তারা।

চর কুড়লিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদ আলী, আবুল ফজলসহ অন্য কৃষকরা জানান, ব্রিজটির কাজ অর্ধেক করে ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। ব্রিজের নিচে ছোট খাল থাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকে। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জমিতে কাজ করতে যাওয়া-আসা, ফসল আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। দামও কম পাচ্ছি। ব্রিজটি হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে জমিতে গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা যাবে।  

ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার নুরুজ্জামান খোকন জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারিনি। একবার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। একমাসের মধ্যে আবার কাজ শুরু করবো। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটা শেষ করতে পারবো।

পাবনা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মন্ডল বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। তাকে দ্রুত কাজ শেষ করতে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা করছি।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়