গন্ডগোলের অপচেষ্টা হলে জনগণকে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুন, প্রশাসন আপনাদের সহযোগিতা করবে। কিন্তু গন্ডগোলের অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা কঠোর হস্তে মোকাবিলা করা হবে। দুর্বৃত্তদের বিতাড়িত করা হবে।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অংশগ্রহণ শেষে টানেলের অপর প্রান্ত আনোয়ারায় কেইপিজেড ময়দানে জনসভায় দেওয়া ভাষণে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে।’
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি আজ ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা অনুমতি দিয়েছি। অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বিএনপি আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের লাঠিপেটা করেছে, মতিয়া চৌধুরীর মতো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে টানা-হেঁচড়া করেছে। আর এখন তারা কয়দিন পরপর কর্মসূচি দেয়। হাঁটা, বসা, দৌঁড়ানো কর্মসূচির পর সামনে হয়তো হামাগুড়ি কর্মসূচি দেবে।’
সদ্য উদ্বোধন করা টানেল সম্পর্কে চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল এটিই প্রথম। পাহাড়ের ভেতর দিয়ে টানেল, নদীর তলদেশে রেল টানেল থাকলেও নদীর নিচ দিয়ে সড়ক টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোথাও নেই। চট্টগ্রামের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী এক লাখ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার ফলে ঢাকার মতো চট্টগ্রামকেও আর আকাশ থেকে চেনা যায় না, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মনে হয়।’
প্রসঙ্গত, প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ বছর ৮ মাসে চীনের সহযোগিতায় কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট পর্যন্ত গভীরে নির্মিত ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ সড়কটি চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পতেঙ্গার সঙ্গে শিল্পসমৃদ্ধ আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
রেজাউল/মাসুদ