ঢাকা     বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১২ ১৪৩১

নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজের বাড়িতে মাতম

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৮ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২১:৩৩, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজের বাড়িতে মাতম

নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ

ঢাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহত পারভেজের চাচা ও বাসাইল থানার এসআই ওয়াজেদ আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: ফকিরাপুলে সংঘর্ষ: আহত পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

আরো পড়ুন:

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজদের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চারকাটারি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাটারি গ্রামে। ২০১১ বা ২০১২ সালের দিকে যমুনা নদীতে তাদের বসতবাড়ি ভেঙে যায়। পরে পরিবারসহ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে এসে বাড়ি করে বসবাস করতে শুরু করে পারভেজের পরিবার। 

দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। পারভেজ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন। তারা দুই ভাই এক বোন। ছোট ভাইয়ের নাম আজিজুল হক বিপ্লব। বর্তমানে তাঁর পরিবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বসবাস করলেও তারা এখনও চরকাটারি ইউনিয়নের ভোটার।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত পারভেজের স্ত্রীর নাম রুমা। পারভেজ-রুমা দম্পতির সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। তার নাম তানহা ইসলাম। পারভেজ স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। পারভেজের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

প্রসঙ্গত, শনিবার ঢাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে পারভেজ আহত হন। বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাত হোসেন বলেন, আমি দফায় দফায় পারভেজের মামার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এখনও পারভেজের লাশ বাড়িতে আনা হয়নি। ঢাকায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়