ঢাকা     বুধবার   ২৬ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১৩ ১৪৩১

শেরপুরে ৫১ বিএনপি নেতাকর্মী কারাগারে

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১০:৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
শেরপুরে ৫১ বিএনপি নেতাকর্মী কারাগারে

বিএনপি ঘোষিত সকাল-সন্ধা হরতালের আগের রাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে এনে ৫১ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে তাদের  বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা করেছে পুলিশ। আর এতে আসামি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০০ জনের অধিক নেতাকর্মীর।

২৯ অক্টোবর বিকেলে তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে।

মামলাগুলোর মধ্যে শেরপুর সদর থানায় ৫৭ জনের নাম উল্ল্যেখ করে এবং আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করে ১টি, শ্রীবরদী থানায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ২টি, ঝিনাইগাতী থানায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ১টি, নালিতাবাড়ি থানায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ১টি এবং নকলা থানায় ৬৫ জনের বিরুদ্ধে ১টি।

আরো পড়ুন:

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, উপজেলার চৌরাস্তা ও কাঁচাবাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আলাদা অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে ২টি আলাদা মামলা করা হয়েছে।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক সাংবাদিকদের জানান, হরতালে নাশকতা করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি যায়গায় বিস্ফোরক জাতীয় বোমা এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হবার খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ৫ জনকে আটক করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, বিএনপির হরতালের সমর্থনে উপজেলার কুসুমহাটি এলাকায় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে-এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ১০ জনকে আটক করা হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, শেরপুরের অন্যান্য উপজেলার মতোই নকলাতেও সাধারণের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টির জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছিল। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিয়েছে।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, ঝিনাইগাতীর খৈলকুড়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে।

হরতালকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে সরকারের এজেন্ডা বাস্তয়ের জন্য গণগ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল। তিনি মুঠোফোনে আরও বলেন, ‘বিএনপির নিরীহ নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সরকার পতনের আন্দোলনে যেন আমাদের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করতে না পারে। 

/তারিকুল ইসলাম/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়