‘প্রেস কাউন্সিল তালিকাভুক্ত সাংবাদিক না হলে সরকারি সুবিধা মিলবে না’

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, যেসব সাংবাদিক প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হবে না, তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবে না। প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হতে গেলে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র ও সম্পাদকের প্রত্যয়নপত্র লাগবে। এতে করে কারা আসল সাংবাদিক সেটা বুঝা যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে নীলফামারী সার্কিট হাউস হলরুমে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘দেশে সাংবাদিক কারা হবেন, তাদের যোগ্যতা কী হবে, এ নিয়ে আইন নেই। সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট কিংবা গ্র্যাজুয়েট না হলেও কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এবং ঢাকায় বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা সংগ্রহ করছি। চিকিৎসক, আইনজীবী, ইঞ্জিনিয়ার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের নিবন্ধন রয়েছে। অথচ সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিতদের নিবন্ধন নেই। এর ফলে যাদের উপযুক্ততা নেই তারাও এ পেশায় আসছে।’ 

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপসাংবাদিকতা রুখতে প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৫ সালে নতুন আইনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছে। এতে সাংবাদিক মিথ্যাচার করে সংবাদ পরিবেশন করলে তাদের এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। এ আইন পাস হলে প্রেস কাউন্সিলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি আসবে।’ 

জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার গোলাম সবুর। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৫০ জন সংবাদকর্মী অংশ নিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ অতিথিরা।