রাজশাহীর ২ চিকিৎসক খুনের তদন্তে অগ্রগতি নেই

রাজশাহীতে একরাতেই দুই চিকিৎসক খুনের ঘটনার এখনও ক্লু খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাই দুই খুনের মামলার আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে। রহস্য উদঘাটন হবে।

গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আরএমপির চন্দ্রিমা থানার কৃষ্টগঞ্জ বাজারের পল্লি চিকিৎসক এরশাদ আলী দুলালকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রাত ৯টার দিকে নগরীর সিটিহাট এলাকায় রাস্তার পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে চেম্বার শেষ করে ফেরার পথে খুন হন যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমদ।

ডা. কাজেমের খুনিদের ধরতে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সংগঠনটি নতুন কর্মসূচি দিয়েছে। শনিবার (৪ নভেম্বর) ও পর দিন রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন চিকিৎসকেরা। এই একঘণ্টা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সমাবেশ হবে।

বিএমএ রাজশাহীর সভাপতি ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী এসব কর্মসূচির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরএমপির ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে খুনিদের ধরতে একটা সময়সীমা দিয়েছিলাম। সেটা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এ জন্য আমাদের নতুন কর্মসূচি দিতে হয়েছে। দুই দিন একঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও তদন্তের অগ্রগতি না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’

জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই খুনের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বলার মতো অগ্রগতি নেই। তবে অচিরেই দুই খুনের রহস্য উদঘাটন হবে। খুনিরাও ধরা পড়বে।’