বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ১৯তম সম্মেলন
বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ১৯তম সম্মেলন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ১৯তম সম্মেলন](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023October/2223-2311031159.jpg)
স্বপ্ন দেখলেই হবে না, স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি নিজেদের মাতৃভাষা, সামাজিক প্রথা ও সংস্কৃতিকে তুলে আনতে হবে। দেশের সামনে উপস্থাপন করা না গেলে আগামীতে পার্বত্য এলাকায় সেসব সংস্কৃতি পিছিয়ে যাবে। তাই আগামীতে নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি তুলে আনার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ১৯তম বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল (বিএমএসসি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল কমিটি গঠন করা হয়। এই অরাজনৈতিক সংগঠনে শিক্ষা, সাম্য, মৈত্রী ও প্রগতি চারটি মূলনীতি নিয়ে পথচলা। এই সংগঠন এখন ৩৫ বছরের পদার্পণ করেছে। যেটি এই সংগঠনের গর্বের বিষয়।
চাকমা সার্কেলে উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন তার বক্তব্যে বলেন, ছোট বেলায় টিফিনের টাকা জমিয়ে বই কিনে পড়তেন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের মধ্যে আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে এই সুযোগটাও পায় না। তবে বর্তমান ইন্টারনেট সুযোগ সুবিধা কারণে এখন চাইলে অনেক ধরনের বই পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি ও আদিবাসীদের ঐতিহ্যের জ্ঞান রাখার দরকার বলে মনে করেন তিনি।
সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ৩১জন বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি উসাইগ্য মারমা, সাধারণ সম্পাদক অংশৈসিং মারমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মংচাই সা মারমাকে নির্বাচিত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি উকিং ওয়াং মারমা সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি সভাপতি গৌতম দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলর কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সভাপতি ও উন্নয়নকর্মী অংচানু মারমা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা, মাধবী, সমাজ ও মানবধিকার কর্মী অংচমং মারমাসহ সুশীল সমাজের গণমান্য ও ছাত্রসমাজ উপস্থিত ছিলেন।
তার আগে সকাল ৯টায় রাজার মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে ছাত্র সম্মেলন উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চিফের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন। এরপর রাজার মাঠ থেকে শত শত ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে র্যালি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এছাড়াও বিকেল বেলায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
চাইমং/বকুল
আরো পড়ুন