ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

শ্রমিক আন্দোলনকে পুঁজি করে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ৪ নভেম্বর ২০২৩  
শ্রমিক আন্দোলনকে পুঁজি করে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব

শ্রমিক আন্দোলনকে পুঁজি করে কোনো ধরনের নাশকতা-সহিংসতার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা রোধে পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন, র‌্যাবের কার্যক্রম পর্যালচনা ও মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যারা গার্মেন্টস শিল্পকে নিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে তাদের অনেককে আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি। কয়েকজনকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এই শিল্প নিয়ে পেছন থেকে হোক বা মাঠ থেকে হোক অরাজকতা করার চেষ্টা করবে তাদের আইনের আওতায় আনবো। যেখানে যেখানে গার্মেন্টস বেশি রয়েছে সেসব স্থানগুলোতে র‌্যাবের টহল ইতোমধ্যে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এবং বিজিবির সঙ্গে আমরা যৌথ পেট্রোল করছি। যে কোনো ধরনের নাশকতা এবং সহিংসতা রোধে আমাদের এই পেট্রোল কার্যক্রম চলমান থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এখন বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় একটি অংশই আসে এই পোশাক শিল্প থেকে। পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে আমাদের দেশের শান্তি প্রিয় পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। বিষয়টি সরকারের দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা, মালিকদের সংগঠন সবাই আমলে নিয়ে একটি মজুরি কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি মহল আমাদের শান্তিপ্রিয় শ্রমিকদের ভুল তথ্য ও গুজবের মাধ্যমে বা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য উস্কানিমূলক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে অরাজকতা, সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত ৩১ অক্টোবর জোসনা নামে এক পোশাক শ্রমিককে মিরপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাকে গুম করা হয়েছে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ১ নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুরে অনেক সহিংসতা ও নাশকতা হয় এই গুজবের কারণে। ‌র‌্যাব-৪ এর একটি দল ১ নভেম্বর জোসনাকে খুঁজে বের করে। জোসনা তার পরিবার নিয়ে বাসায় অবস্থান করছিলেন। 

কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যারা এই শান্তিপ্রিয় শ্রমিক ভাইদের নিয়ে নাশকতা সহিংসতার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা চোরা গুপ্ত হামলা থেকে সহিংসতা করছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। র‌্যাব ফোর্সেস এই চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি। পূর্বের তুলনায় আমরা আমাদের সাইবার ওয়ার্ল্ডে নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যদি উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্যের মাধ্যমে শ্রমিকদের উস্কে দেয় তাহলে আমরা তাদেরকেও আইনের আওতায় আনবো।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- র‍্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স), অপারেশন্স উইং এর পরিচালক ও র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। 

সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ