ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

ডা. কাজেম খুন: রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৪ নভেম্বর ২০২৩  
ডা. কাজেম খুন: রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

রাজশাহীর ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদের খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রতিবাদে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) রাজশাহী শাখা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসকেরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে তারা ডা. কাজেমের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএ রাজশাহীর সভাপতি ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী। তিনি বলেন, ‘খুনিদের ধরতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাই আলটিমেটাম শেষে এই কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি। বিএমএর ঘোষণা অনুযায়ী রোববারও বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘রোববারের কর্মসূচি পালনের পর আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। এরপরও যদি ডা. কাজেমের খুনিরা গ্রেপ্তার না হয়, তবে আরও বড় কর্মসূচির দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

কর্মসূচিতে বিএমএ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এ বি সিদ্দিকীসহ অন্য চিকিৎসকেরা বক্তব্য দেন।

গত ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টার দিকে চেম্বারে রোগী দেখা শেষ করে ফেরার পথে খুন হন যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমদ। তিনি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতা ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে শুধু প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময় তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

ডা. কাজেম যে রাতে খুন হন, সেই একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার কৃষ্টগঞ্জ বাজারের পল্লিচিকিৎসক এরশাদ আলী দুলালকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রাত ৯টার দিকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে সিটিহাট এলাকায় তার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। একই দিনে এ দুই চিকিৎসক খুনের ঘটনায় মামলা হলেও রহস্য উদঘাটন হয়নি।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জামিরুল ইসলাম শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বলেন, ‘দুটি খুনের ঘটনাই পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুতই খুনিদের শনাক্ত করা যাবে।’
 

কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়