ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, বন্ধ দূরপাল্লার বাস

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ৫ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৩:৩৪, ৫ নভেম্বর ২০২৩
পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, বন্ধ দূরপাল্লার বাস

বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ও ১, ২ নভেম্বরের অবরোধে পর্যটক ছিলো না কুয়াকাটায়। এতে লোকসানে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। 

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে সমুদ্র সৈকতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন পর্যটক রয়েছেন। ফাঁকা পড়ে আছে ছাতা বেঞ্চি। অলস সময় কাটাচ্ছেন ফটোগ্রাফার, স্পিডবোট চালক, আচার ব্যবসায়ী, কসমেটিক্স ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। হোটেল মোটেলের কক্ষ বুকিং না থাকায় প্রায় ২ শতাধিক কর্মচারীরাও পার করছেন অলস সময়। এতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। 

এদিকে সকাল থেকে পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীন রুটের যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী সংকটে বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস। তবে বাসস্ট্যান্ড সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ সদস্য।  

কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন কসমেটিক্স ব্যবসায়ী নাসির মিয়া জানান, শুক্রবার ও শনিবার কিছু বিক্রি ছিলো। তবে আজ পর্যটক না থাকায় কোন বিক্রি নেই। কিন্তু দোকান ভাড়া ও কারেন্ট বিলসহ আনুসঙ্গিক খরচ করতেই হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বড় লোকসানে পড়বো। 

কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার জুলহাস মিয়া বলেন, এমনিতেই রোববার সৈকতে কম পর্যটক থাকে। তারপর উপর অবরোধের কারণে কোনো পর্যটকই নাই। সকাল থেকে ক্যামেরা নিয়ে ঘুরতেছি। কোন ইনকামই করতে পারিনি। 

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আমাদের প্রায় দুই শতাধিক হোটেল মোটেলে দেড় হাজারেরও বেশি কর্মচারী রয়েছে। অবরোধের কারনে গেষ্ট না থাকায় এসব কর্মচারীদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। গত দুই দিনের অবরোধে আমাদের ব্যাপক লোকসান হয়েছে। আজও সব হোটেল ফাঁকা। এভাবে অবরোধ থাকলে আমরা হোটেল মোটেলের কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে পারবো না।

মহিপুর থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। 

ইমরান/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়