লক্ষ্মীপুরে দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন

লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের উপ-নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রাকিব হোসেন (লাঙ্গল) ও শামছুল করিম খোকন (গোলাপ ফুল)।

রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে এ দুই প্রার্থী লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে এসে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তাদের এজেন্টদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করে জালভোট প্রদান করেছে। 

এসব বিষয়ে রিটার্ণিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি দাবী করে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তারা।

লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অভিযোগ করেন, লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম হোছেনিয়া মাদ্রাসা, দত্তপাড়া রামরতন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, চন্ডিপাড়া, চরশাহী নুরুল্লাহ, ভবানীগঞ্জ চকবাজার মডেল একাডেমি, বড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে।

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম ফারুক পিঙ্কু। তিনি বলেন, কোন ধরণের প্রভাব ছাড়াই স্বাধীনভাবে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে নৌকার সমর্থকরা।

নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে, কোথাও কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। দুপুর ১২ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ৪ ঘণ্টায় (সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত) ৪৩ হাজার ৪৪২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 

জাতীয় পার্টির প্রার্থীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে এন আহমদীয়া, পাবলিক স্কুল, লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনারও খবর পাওয়া যায়নি।

এ উপ-নির্বাচনে দুই প্রার্থী ভোট বর্জন করলেও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহামুদ আম প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।  

১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন।