ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

সাক্ষ্য দিতে এসে ৩ রোগের বিষয়ে সচেতন করলেন চিকিৎসক

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৮, ৬ নভেম্বর ২০২৩  
সাক্ষ্য দিতে এসে ৩ রোগের বিষয়ে সচেতন করলেন চিকিৎসক

মুন্সীগঞ্জ আদালতে সাক্ষ্য দিতে সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে হাজির হন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার শৈবাল বসাক। মামলার সাক্ষ্য শেষে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী কামরুল ইসলামের অনুমতি নিয়ে তিনি তিনটি রোগ সম্পর্কে উপস্থিত আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের সামনে বক্তব্য রাখেন। তার এ কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন বিচার প্রার্থী ও আইনজীবীরা।

অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভিতরে বক্তব্যে ডাক্তার শৈবাল বসাক বলেন, ‘৬ থেকে ৮ মাস ধরে সারা দেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জে ৩টি রোগ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ডেঙ্গু, মাম্স, হ্যান্ড-ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ অন্যতম। ডেঙ্গু সব বয়সের মানুষের হয়। এছাড়া মাম্স ও হ্যান্ড-ফুট এন্ড মাউথ রোগের মধ্যে দু’টাই ভাইরাস জনিত। মাম্স ভাইরাসে মুখমণ্ডলের দুইপাশের গাল ফুলে যায়। তবে, এ ভাইরাসে কেউ ভয় পাবেন না। এটা কোনো ক্ষতি করতে পারে না। প্যারাসিটামল খেলে এবং পাশাপাশি গরম সেঁক দিলে কিছুদিন পর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। হ্যান্ড-ফুট অ্যান্ড মাউথ রোগটি সাধারণত বাচ্চাদের হচ্ছে। এটাও একটা ভাইরাস।’

তিনি আরও বলেন, হ্যান্ড-ফুট এন্ড মাউথ ভাইরাসে বাচ্চাদের মুখমন্ডলে, হাতে ও পায়ে আঁচিল বা গোটার মতো হয়ে থাকে। তবে এ ভাইরাসে ভয়ের কিছু নেই। এটা হওয়ার কিছুদিন পর এমনিতেই চলে যায়। এসব ভাইরাসের জন্য কোনো মেডিসিন নাই। তবে ডেঙ্গু রোগের জন্য আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। বাড়ির আশেপাশে সব জায়গায় দেখতে হবে যেন কোথাও পানি জমে না থাকে। ডেঙ্গু হলো এডিস ভাইরাস যা মশা বহন করে। ডেঙ্গু হলে বুঝার উপায় জ্বর ১০৩ ডিগ্রি হলেও শরীর এমন ব্যাথা করবে যেনো হাতুরি দিয়ে পেটানো হয়েছে। এমন জ্বর আসলে দেরি না করে অবশ্যই হাসপাতালে চলে আসবেন। সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। ডেঙ্গু এজন্যই পরীক্ষা করবেন ডেঙ্গুতে রক্তের প্লেটলেট পরীক্ষা করা হয়। যেটা রক্ত জমাট বাঁধতে ও ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। সেটা যদি পরিমাণের চেয়ে কমে যায় তাহলে নাক ও মুখ দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। তাছাড়া ব্রেন পর্যন্ত চলে গেলে স্ট্রোকও হতে পারে। প্লেটলেট কমতে কমতে রোগী মারাও যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী কামরুল ইসলাম, সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামছুন্নাহার শিল্পী, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রোজিনা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান শেখ, অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান জুয়েল, অ্যাডভোকেট নাজমা আক্তার নীরা, অ্যাডভোকেট দেবদাস মন্ডল দিপু ও অ্যাডভোকেট তন্ময় চক্রবর্তীসহ অন্যান্য আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘সাক্ষ্য দিতে এসে ডা. সাহেব নিজ ইচ্ছায় মানুষকে সচেতন করলেন এটা প্রশংসনীয় কাজ। অন্যান্য ডাক্তাররাও যদি এভাবে আমাদের আশেপাশের লোকজনকে সচেতন করতেন তাহলে মানুষ একদিকে সাধারণ রোগে আক্রান্ত হলে যেমন ভয় কম পেতো অন্যদিকে কঠিন রোগগুলো সম্পর্কে সচেতন হতো।’

রতন/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়