গোপালগঞ্জে হত্যা ও ডাকাতির মামলায় ১২ জনের যাবজ্জীবন

গোপালগঞ্জে হত্যা ও ডাকাতির মামলায় ১২ ডাকাতকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান পিটু। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মিন্টু শেখ (২৫), লিটন ওরফে আলম (৩২), টুটুল মীর (২৩), কবির শেখ (২৮), মাফুজাল বিশ্বাস ওরফে মাসুদ (৩২), কাকলী বেগম (২২), শিমু ওরফে সীমা (২৫), মো. জাহাঙ্গীর তালুকদার ওরফে বাবু তালুকদার (৩৫), রফিকুল ফকির (৩২), মজি (৩৫), তারা মিয়া শেখ ওরফে তাহের (২৮) ও মোলাম শেখ (৪০)। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে।

আদালত ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে একদল ডাকাত মুকসুদপুর উপজেলার চন্ডিবর্দি গ্রামের রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বসত ঘরে গ্রিল কেটে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা সিরাজুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। বাবাকে বাঁচাতে মেয়ে শাওন এগিয়ে গেলে ডাকাতরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং পালিয়ে যায়। পরদিন সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নাম না জানা ব্যক্তিদের আসামি করে মুকসুদপুর থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে মুকসুদপুর থানা পুলিশ। আসামিদের মধ্যে বাবুল সরদার ও দীন ইসলাম নামের দুই ডাকাত মৃত্যুবরণ করায় দীর্ঘ শুনানি শেষে বাকি ১২ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক মাকসুদুর রহমান।