ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

যশোরে জোড়া হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ৮ নভেম্বর ২০২৩  
যশোরে জোড়া হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

যশোরের চৌগাছা উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব খান ও ইউনুস খান হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম রায় ঘোষণা করেন। বাদীপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট হলেও আসামিপক্ষ আপিল করবে বলে জানিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড হওয়া আসামিরা হলেন- টেঙ্গুরপুর গ্রামের আবজেল খানের ছেলে বিপ্লব ওরফে বিপুল ও মুকুল খান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বিল্লাল খান ও তার স্ত্রী রূপালী বেগম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর সর্দার ব্রিকসের বিপরীতে মুকুল হোসেনের চা দোকানে বসে ছিলেন ইউনুস খান। কাজের লোক (কামলা) ঠিক করা নিয়ে প্রথমে ইউনুস খানের সঙ্গে দোকানি মুকুলের কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় ইউনুসকে মুকুল, বিল্লাল, বিপুল ও রুপালি বেগম মারধর করেন। পরবর্তীতে ইউনুস খান বাড়িতে গিয়ে তাঁর ভাই আইয়ুব খাঁ ও ভাতিজা আসাদুজ্জামান খানসহ মুকুলের দোকানে এসে মারধরের প্রতিবাদ করেন। এসময় মুকুল, তাঁর ভাই বিপুল, বিল্লাল ও রুপালি বেগম মিলে ইউনুস খান, তাঁর ভাই আইয়ুব খান এবং আসাদুজ্জামান খানকে গাছি দা ও বটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুছ আলী খান এবং আয়ূব আলী খানকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আইয়ুব খানের মেয়ে সোনিয়া খান বাদী হয়ে চার জনের নামে মামলা করেন। পরে এজহারনামীয় চার আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক চার আসামির মধ্যে মুকুল খান ও বিপ্লব ওরফে বিপুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে অপর দুই আসামি বিল্লাল খান ও তার স্ত্রী রূপালী বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মুকুল খানের স্ত্রী জলি বেগম বলেন, মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা এ রায় মানি না।আমরা ন্যায় বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাবো।

রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়