ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

গাজীপুরে দিনভর সংঘর্ষ, এপিসি বিস্ফোরণে ৫ পুলিশ আহত  

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪০, ৮ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২০:৪৭, ৮ নভেম্বর ২০২৩
গাজীপুরে দিনভর সংঘর্ষ, এপিসি বিস্ফোরণে ৫ পুলিশ আহত  

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বুধবার (৮ নভেম্বর) দিনভর বিক্ষোভ করেছেন গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। এসময় কয়েকবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে এক নারীর মৃত্যু পাশাপাশি আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। এদিকে, বিকেলে শ্রমিক বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের এপিসিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

আহত পুলিশ সদসরা হলেন- প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) আশিকুল (২৭) ও বিপুল (২৪)। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক। তার ডান হাতের আঙুল ও কব্জির নিচের অংশ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়া, তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসির ভেতরে পুলিশ সদস্যদের অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজনের হাতের কব্জি মারত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বিস্ফোরণে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকেলে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য এপিসিতে হওয়া বিস্ফোরণে আহত হন।

এদিকে, আজ সকাল থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জরুন, বাইমাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটের আহত হয় বেশ কয়েকজন শ্রমিক। এর মধ্যে গুরুতর আহত এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে পুরো এলাকায়। তবে, কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে বিকেল ৪টার পর থেকে মহানগরীর আমবাগ এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন এমএম ও পিএন কারখানা শ্রমিকরা। তারা আঞ্চলিক সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে, পরে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গাজীপুর শিববাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, নাওজোড়, ইটাহাটা ও ভোগাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ঘোষিত বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানায়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকরা বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশের কারখানায় ঢিল ছুড়ে ভাঙচুর চালায়। থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এসময়ে পুলিশ ও কারখানার একাধিক সদস্য আহত হন। 

রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়