ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

বগুড়ায় শ্রমিক হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

বগুড়া প্রতি‌নি‌ধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৭, ৮ নভেম্বর ২০২৩  
বগুড়ায় শ্রমিক হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

বগুড়া সদরে আল আমিন (১৭) নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল করিম হলি।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফরিদ শেখ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—একই এলাকার ইয়াকুব আলী শেখ, মঞ্জু শেখ, নয়ন শেখ, সোহাগ শেখ, মাছুম শেখ, আব্দুর রাজ্জাক শেখ এবং খোরশেদ শেখ। 

নিহত আল আমিন কুটুরবাড়ি এলাকার বাদশা শেখের ছেলে। সে কড়াই নির্মাণের কারখানায় কাজ করত।

২০১৯ সালের ৬ জুন আল আমিনকে প্রতিবেশীরা পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ঘটনার দুই দিন পর ৮ জুন সদর থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন তার বাবা বাদশা শেখ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল করিম হলি বলেন, আল আমিনের বড় চাচার সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল আসামিদের। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৬ জুন সকালে বাড়ির উঠোনে চাচাকে মারধর করেন আসামিরা। এটা দেখে আল আমিন বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর শুরু করা হয়। ওই সময় আল আমিনের পেটে ধারালো সুড়কি দিয়ে আঘাত করে আসামিরা। আঘাতের কারণে আল আমিন মাটিতে পড়ে গেলে তাকে লোহার রড, লাঠি দিয়ে আরও মারধর করা হয়। তাকে উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে সে মারা যায়।

নাছিমুল করিম হলি আরও বলেন, মামলার শুনানিতে অভিযোগের বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়। এজন্য বিচারক ফরিদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি সাতজনের যাবজ্জীবন সাজা দেন। তিন নারী আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। রায়ের পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনাম/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়