ঢাকা     রোববার   ০৭ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৩ ১৪৩১

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ৯ নভেম্বর ২০২৩  
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ

নোয়াখালীতে বিরোধী মতাদর্শের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও থানায় থানায় গায়েবি মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সংগঠনটির জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান অভিযোগ করেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপিসহ অপরাপর সমমনা রাজনৈতিক দল ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর প্রতিটি উপজেলায় নির্বিচারে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ৩২১ জন এবং জামায়াতে ইসলামীর ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার প্রায় সকল থানায় গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগের দিন ধরে এনে পরের দিন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বুধবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ২২ মামলা দায়েরের তথ্য তারা পেয়েছেন। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ৬৪৮ জনকে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২৭১ জনকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা আদালতে মামলার হাজিরা দিতে এসেও গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন। বুধবার জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক কামালকে। একই দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুককে। অথচ তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সকল মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। ঘরে ঘরে তল্লাশি অভিযানের নামে জনমনে চরম ভীতি ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে পুলিশ। কোন সভ্য দেশে এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।

আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য মো. শাহজাহানকে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উক্ত মামলার এজাহারে তার নামও নেই। কারো জবানবন্দিতেও তার নাম আসেনি। অথচ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, সদস্য অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান সাকিল, অ্যাডভোকেট মো.ইমাম হোসেন কাওছার প্রমুখ।

সুজন/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়