ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

১৫ বছর পর মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ‘পাংখুং’ মঞ্চায়ন

বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ১১ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২১:৫৮, ১১ নভেম্বর ২০২৩
১৫ বছর পর মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ‘পাংখুং’ মঞ্চায়ন

মারমা সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া লোকনাট্য ঐতিহ্যবাহী ‘পাংখুং মাহা জানাখা’ ও জুম চাষে পশু পাখি তাড়ানো ‘ধুংখলং ও খেখং’ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রেম-প্রণয় বিষয়ে মঞ্চায়ন করা হয়েছে বান্দরবানের রেনিং পাড়ায়, যা মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য।
১৫ বছর বন্ধ থাকার পর আবার সেই বিলুপ্তপ্রায় মারমা লোকসংস্কৃতি ‘পাংখুং’ দলকে তিন মাস প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রেখেছে। বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মংনুচিং মারমা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবান সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা রাজবিলা ইউনিয়নে রেনিং পাড়ায় এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিংইয়ং ম্রো বলেন, বান্দরবানে ১১টি সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ আসলেই প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ের সাথে যেগুলো জড়িত মারমা সম্প্রদায়ের পাংখুং, জাইক, কাপ্যা আগে পাড়ায় পাড়ায় রাতব্যাপী প্রদর্শন করা হতো। নাটক, গান, নৃত্য সমন্বয়ে সুন্দর একটা কাহিনীকে আমরা লোকনাট্য বলে থাকি। এটা মারমা ব্যতীত অন্য কোন জাতিগোষ্ঠীর কাছে নেই। তাই এই লোকসংস্কৃতি অবশ্যই আমাদের ধরে রাখতে হবে। এই সংস্কৃতি আমাদের পূর্বপুরুষদের মেলবন্ধন তৈরি করে।

বিশেষ অতিথি মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, মারমাদের হারানো লোক সংস্কৃতি এই পাংখুং দলের মাধ্যমে অনেকটা ফিরে আসবে।  

পাংখুং দলের সদস্য মংশৈ প্রু মারমা বলেন, পাংখুং দলে ৪৫ জন সদস্য আছেন, তার মধ্যে নারী সদস্য ১৫ জন। প্রায় বিলুপ্তি হওয়া মারমা লোকনাট্য 'মাহা জানাখা পাংখুং' ধরে রাখতে এই দল করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে পাংখুং দলের ৪৫ জন সদস্যকে আর্থিক সহযোগিতা, দলের জন্য নাট্য সরঞ্জাম এবং পাংখুং দলের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এছাড়াও রেনিং পাড়া নাট্য সাংস্কৃতিক দলের জন্য পোশাক, বাদ্যযন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কার্যসম্পাদন চুক্তি (এসিএ) বাস্তবায়নের আওতায় আয়োজিত রাজবিলা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা রেনিং পাড়ায় এই অনুষ্ঠানে রাজবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কেএসআই এর সহকারী পরিচালক লীলা মুরুং, প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।

চাইমং/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়